• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ম্যানেজারের গাফিলতিতে চার বছর ঝুলে আছে পেনশন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

সোনালী ব্যাংকের বগুড়া সোনাতলা শাখার অ্যাসিস্টেড অফিসার মো. আমজাদ হোসেন। অবসরে গেছেন চার বছর আগে। এখনো অবসরকালীন কোনো সুযোগ সুবিধা পাননি তিনি।

আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজারের আর্থিক চাহিদা পূরণ না করায় তাকে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে। অবসরের পর পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

আমজাদ হোসেন জানান, ২০১৫ সালের ১৩ জুন তিনি অবসরে যান। ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে সোনাতলায় তার মূল বেতন নির্ধারণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সোনাতলা শাখার তৎকালীন ম্যানেজার উৎপল কুমার কোন ব্যবস্থা করেননি। এভাবে ওই শাখায় তিনজন ম্যানেজার এসেছেন-গিয়েছেন। কিন্তু কেউই প্রধান কার্যালয়ের ওই চিঠির উত্তর দেননি।

তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সামিউল ইসলাম নামের একজন ম্যানেজার ওই শাখায় যোগদানের পর আমজাদ হোসেনের মূল বেতন নির্ধারণ করে প্রধান কার্যালয়ে চিঠির উত্তর দেন। এরপর প্রধান কার্যালয় তার পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। কিন্ত বর্তমান ম্যানেজার মাহবুব আলম মূল কাজটি না করে শুধুই কালক্ষেপণ করছেন।

অবসর পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে এ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, টাকার অভাবে পরিবারের ভরণপোষণ-চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছি না। আমার মেয়েটা মাস্টার্স পরীক্ষা দিতে পারেনি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার পাওনা পরিশোধ করলে চার ছেলেমেয়ে নিয়ে শেষ বয়সটা শান্তিতে কাটাতে পারতাম।


অভিযুক্ত সোনালী ব্যাংকের সোনাতলা শাখার বর্তমান ম্যানেজার মাহবুব আলম জানান, প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উত্তর পেলেই আমজান হোসেনের সব পাওনা পরিশোধ করা হবে।

সোনালী ব্যাংকের বগুড়া প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম মতিয়ার রহমান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেবো।