• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সপ্তম বারের মতো বিয়ের আসরে স্কুল শিক্ষিকা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯  

সপ্তম বারের মতো বিয়ের আসরে বসলেন রাবেয়া আক্তার টপি নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা। এর আগে প্রত্যেকবারেই মোটা অঙ্কের মোহরানা নিয়ে তালাকপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।

নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে রাবেয়া আক্তার। তিনি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

রোববার একই উপজেলার গোলাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিককে তার সপ্তম স্বামী হিসেবে বিয়ে করেন।  

পরিবার এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষিকা  টপি দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে কিশোরী বয়সে তার মেজ ভাইয়ের শ্যালককে ভালোবেসে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর কলেজে ভর্তির কিছু দিন পরে রুবেল তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার টপিকে তালাক দেন।

এরপর নওগাঁর আত্রাইয়ের ইমন নামে একজনকে দ্বিতীয় বারের মতো বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরে ইমন স্ত্রীর চারিত্রিক সমস্যার কারণে তাকে তালাক দেন। পরে পুনরায় তাকে বিয়ে করেন এবং তৃতীয় বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।  

একপর্যায়ে আবারো তালাক দিলে রাবেয়া আক্তার (আদালতের মাধ্যমে) ইমনের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা দেনমোহর আদায় করেন।

এরইমধ্যে রাবেয়া আক্তার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ২৫ জুন তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তিনি চতুর্থ বারের মতো বিয়ে করেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্বপারুলিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে স্বাস্থ্য সহকারী সোহেল রানাকে। সোহেল রানারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে।

হঠাৎ করে একদিন টপি জানতে পারেন যে সোহেল রানা বিয়ের তিন মাস পরেই তাকে গোপনে তালাক দিয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে পুনরায় তাদের বিয়ে হয়। যেটি টপির পঞ্চম বিয়ে এবং সোহেলের তৃতীয়। এবারেও স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হন তিনি। জয়পুরহাট আদালতে মামলা করেও এ বিয়ে এবং সংসার রক্ষা করতে পারেনি টপি।

অবশেষে জয়পুরহাট সদর থানায় চার লাখ টাকার বিনিময়ে তালাকনামা গ্রহণ করে সোহেল রানার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ প্রত্যাহার করেন টপি।

এরপর তিনি ষষ্ঠ বিয়ে করেন ঢাকায় কর্মরত রেলপথ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সাগর নামের একজনকে।  একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনের জন্য ঢাকায় গিয়ে পরিচয় হয় সাগরের সঙ্গে। সাগরের বাসায় কয়েকদিন থেকে হাইকোর্ট থেকে জামিনের কাজ শেষ করে নিজের বাসায় ফিরে আসেন টপি।

সাগরের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থানকালে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন টপি। টপি পূর্বে কখনো বিয়ে করেনি এমন কথা বিশ্বাস করে সাগর তাকে বিয়ে করেন। 

বিয়ের কিছুদিন পরে টপির বহু-বিবাহের ঘটনা জানতে পেরে সাগর তাকে তালাক দেয়। বিয়ের কাবিননামায় সাগর তার ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করায় রাবেয়া আক্তার তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

নিশ্চিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা টপি বলেন, একাধিক বিয়ের কথা স্বীকার করেন।  

জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার তৌফিকুজ্জামান বলেন, বহু বিবাহ করা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে কেউ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।