বদলে যাচ্ছে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শিক্ষার চিত্র
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২০
তিন বছর আগে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ীতে জনসভায় হাওড় অঞ্চলগুলোতে আবাসিক সুবিধাসহ স্কুল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই প্রতিশ্রম্নতি দেন দুর্গম ও পার্বত্য এলাকা, পাহাড়ি, হাওড়-বাঁওড়, চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য। এসব অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার মূল ধারায় আনা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রম্নতি রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের শিক্ষার চিত্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা অঞ্চলে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসংবলিত আবাসিক স্কুল স্থাপনের প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে চরাঞ্চলে মাধ্যমিকপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫৭ কোটি প্রকল্পের। পাহাড়ি অঞ্চলের শিক্ষার ধারা পরিবর্তনে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজপর্যায়ের অবকাঠামোর কাজও চলছে দ্রম্নতগতিতে। মৌলভীবাজারসহ চা বাগানে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ দুটি প্রকল্প। যার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের চা শ্রমিকরা সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। যুগের পর যুগ তাদের সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পিছিয়ে পড়া চা বাগানের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়বিহীন চা বাগানে নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় স্কুল স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন যেসব এলাকায় বিদ্যালয় নেই সেসব এলাকা ম্যাপিং করে প্রায় ১ হাজার স্কুল করার তালিকা দিয়েছে। এগুলো এখন যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চা বাগানে বিদ্যালয়হীন এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ম্যাপিং করে প্রায় ১ হাজার স্কুল স্থাপনের তালিকা পেয়েছি। সেগুলো এখন স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালয়বিহীন চা বাগান এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের নির্দেশনার মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সব উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে স্কুল স্থাপনের সম্ভাব্য যাচাই করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলভীবাজার জেলায় মোট চা বাগানের সংখ্যা (মূল ও শাখা বাগানসহ) ১২০টি। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬১টি বাগানে। এছাড়া মালিকদের পরিচালনায় ৫৮টি বাগানে স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। আর ৯টি বাগানে কোনো স্কুল নেই। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ৫টি বাগানে স্কুল স্থাপনের সুপারিশ করেছেন। বাকি ৪টি বাগানে স্কুল স্থাপনের প্রয়োজন নেই বলে সুপারিশ করেছে। আর ৮টি বাগানে দুটি করে স্কুল রয়েছে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চা বাগান এলাকায় তিনটি স্কুল রয়েছে। স্কুলগুলো চা বাগানের মালিকরা পরিচালনা করেন। এসব স্কুল সরকারি করার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। সীমান্তলাগোয়া কমলগঞ্জ উপজেলায় নন্দরানী বা বাগানে কোনো স্কুল নেই। এ উপজেলায় অন্য ১৭টি বাগানে মালিকদের পরিচালনায় ১৯টি স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোও সরকারি করার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। রাজনগর উপজেলায় ১১টি চা বাগানে স্কুল রয়েছে। এগুলো মালিকদের অর্থে পরিচালিত হয়। বড়লেখা উপজেলার আয়শাবাদ চা বাগানে কোনো স্কুল নেই। আরও ৩টি বাগানে স্কুল না থাকলেও বাগানের পার্শ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চা বাগানে কর্মরতদের সন্তানরা পড়াশুনা করে। একই উপজেলার চারটি চা বাগানে বেসরকারিভাবে স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া মৌলভীবাজারের চা বাগান এলাকায় বিশেষায়িত কারিগরি স্কুল স্থাপনের শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা বাগান উপযোগী কারিগরি রিলেটেড বিভিন্ন ট্রেড সাবজেক্ট পড়ানো হবে। ইতোমধ্যে কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে অবস্থিত দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ চলমান। এটি নির্মিত হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী স্তরে ঝরে পড়া কমবে। একই সঙ্গে এসব শিশু কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। দেশের চরাঞ্চল অধু্যষিত চার বিভাগের ১১টি জেলায় ৫২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান। এতে মোট খরচ হচ্ছে ১৫৭ কোটি টাকা। এ প্রকল্প আগামী বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মি-ডেল মিল, শিক্ষার্থীদের নৌকা দিয়ে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা, বিদু্যৎবিহীন এলাকায় সৌর বিদু্যতের ব্যবস্থা করা করা হবে। ফলে চরাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের ৬ মাস স্কুল বাকি সময় মাঠে কাজ এ দুর্নাম থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আসবে বলে প্রকল্পে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের দুর্গম ও পার্বত্য এলাকা, পাহাড়ি, হাওড়-বাঁওড়, চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এমপিও নীতিমালার ১৪ ধারা (বিশেষ বিবেচনা) অনুসারে, এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকার পরও ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেওয়া হয়েছে। ভবিষতেও পিছিয়ে পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে নিতে এ বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সংশোধিত এমপিও নীতিমালায়। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন ও নিকলী, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনায় হাওড়ে আবাসিক স্কুল স্থাপনের আলাদা তিন প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের পর দরপত্র দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ওই অঞ্চলের ১৮টি উপজেলায় কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্র বদলে যাবে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা আবাসিক সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ ছয় মাস স্কুলে থেকেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন। যেসব এলাকায় বিদু্যৎ নেই সেখানে সৌর বিদু্যতের ব্যবস্থা করা হবে। সব স্কুলে ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়াসহ সব ধরনের সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা।
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযান
- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন
- বজ্রপাতে মা ও ছেলে অঙ্গার
- বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি
- সেনাপ্রধান: সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু
- পাকিস্তানে ‘সবচেয়ে আর্দ্র এপ্রিল’ রেকর্ড
- কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সুন্দরবনে আগুন
- ফের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজীব
- আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ ঢাকায় আসছেন
- অর্থ আত্মসাৎ এএসআইর
- অস্ত্রসহ মাদক কারবারি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
- সুন্দরবনে আগুন
- মারা গেছেন বলিউডের প্রবীণ পরিচালক সুনীল শর্মা
- ১৩ কিমি ধাওয়া করে মোটরসাইকেল উদ্ধার
- বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা
- হজযাত্রীদের সেবায় আশকোনায় কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি
- চিকিৎসা নিজেই করল ওরাং ওটাং!
- বলিউড মাতাতে চলেছেন আসিফ
- কেরানীগঞ্জে জনসভা
- আনারস নিয়ে প্রার্থীর মিছিল
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- গণপূর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
- সাভারে নির্জন এলাকায় মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম
- গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনায় বরখাস্ত ৩
- কুলিং জোন করবে উত্তর সিটি
- স্বস্তিতে নগরবাসী
- এমপিদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মানুষ কেনাবেচার হাটে ভীড় বাড়ছে
- মাদক ব্যবসায় জড়াচ্ছে নারীরাও
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- তীব্র গরমে স্কুলের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- সাভারে ফের উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব
- আমাদের সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে বৃষ্টি না হলে
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- অস্ত্রসহ মাদক কারবারি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- ১৩ কিমি ধাওয়া করে মোটরসাইকেল উদ্ধার
- সাভার ও গাজীপুরে দুটি ওয়াইজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত
- হজযাত্রীদের সেবায় আশকোনায় কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি
- সেনাপ্রধান: সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে
- সাভারে আটোরিকশা নিয়ে র্যালি
- মুহিতের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকেলে
- ৯ মে পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চলবে
- স্বস্তিতে নগরবাসী