বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড বার্গম্যান সম্পর্কে জানা জরুরি
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ডেভিড বার্গম্যান হলো সেই লোক, যিনি প্রতিহিংসার বর্শবর্তী হয়ে সাংবাদিকতা করেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাই যার মূল লক্ষ্য। বার্গম্যান মূলত নিজেকে পরিচয় দেন একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক হিসেবে, যিনি অনেক বছর বাংলাদেশ অবস্থান করেছেন এবং একটা বিশেষ শ্রেণির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে নিজের ব্লগে লেখালেখি করে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হলে তা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখি করেন বার্গম্যান। তার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। অধিকাংশ লেখাতেই তিনি শুধু সেইসব মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন, যারা বিএনপি এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এটা সবাই জানে যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান সহযোগী, যাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানিরা এদেশে গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।
এদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন বার্গম্যান এবং ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর তিনি এবিষয়ে সর্বশেষ লেখা লিখেছেন। এই বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু এখনো চলছে। তবে বার্গম্যান আগে যেমন সক্রিয়ভাবে বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য লিখতেন, এখন আর এখন লিখছেন না। কিন্তু কেনো? তার এতো আগ্রহ-উদ্যম হঠাৎ থেমে গেলো কেনো? কারণটা পরিষ্কার। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি ও জামায়াতের যেসব নেতা অভিযুক্ত ছিল, তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তাই এরপর থেকে তিনি আর এই বিষয়ে সক্রিয় নন। এতেই বোঝা যায় যে, তিনি এই মুক্ত-সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে আসলে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছেন এবং এজন্য তিনি বিশেষভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।
কেনো বাংলাদেশ নিয়ে বার্গম্যানের এতো আগ্রহ?
নিজের লেখা এক ব্লগে বার্গম্যান এটাও দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আসলে ত্রিশ লাখ মানুষ মারা যায়নি। তার দাবি, এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র তিন লাখ! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বার্গম্যানের এই দাবির তুলনায় হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ছিল দশ গুণ। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, যুদ্ধের পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এই চক্রটি নিজেদের ঘৃণ অপরাধ ঢাকার জন্য শুরু থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে নিহতের কমিয়ে বলার চেষ্টা করে আসছে। ডেভিড বার্গম্যান তাদের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এবং সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি বিচারাধীন বিষয়ে উস্কানি ছড়ানোর দায়ে একপর্যায়ে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ইতিহাস বিকৃতির দায়ে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তাকে অভিযুক্ত করে।
সোজা কথায়, আমরা যদি এই স্বঘোষিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক বার্গম্যানকে চিহ্নিত করতে চাই, তাহলে তাকে একজন ফড়িয়া বা দালাল ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও এটিই সত্য। নির্মম বাস্তব এটাই যে, বার্গম্যান মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিয়ম একটি বিশেষ শ্রেণির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
বার্গম্যান নিজের ব্লগ ছাড়াও বিডি পলিটিকো নামে আরো একটি ব্লগ পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন পক্ষের ফুটফরমায়েস হিসেবেই আর্টিকেল লেখেন। এই ব্লগে তার লেখার অন্যতম বিষয়গুলো হলো: বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে আক্রমণ করা, এবং দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো।
বার্গম্যানের পরিচয় এবং কর্মজীবন আসলে কেমন?
এই তথাকথিত সাংবাদিক নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করলেও তার ব্যক্তি ও পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে জানা প্রাসঙ্গিক। তিনি ড. কামাল হোসেনের জামাতা। আর এই ড. কামাল হলেন বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় জোট বিএনপি-জামায়াতের প্রধান সমন্বয়ক। এই কারণেই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে দীর্ঘ সময় লেখালেখি করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন বার্গম্যান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রচারণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে লবিংয়ের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করা হয়েছে, বিশেষ করে ওয়াশিংটন ও লন্ডনে, এসবের সঙ্গেও তিনি জড়িত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন অভিযুক্ত যে পরবর্তীতে দণ্ডিত হয়েছে, সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ম্যানেজ করতেই ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এই বার্গম্যানের রাজনৈতিক যোগাযোগ এতোটাই ঘনিষ্ঠ যে তা চাইলেও অস্বীকার করার উপায় নাই। এমনকি লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গেও তাকে আন্দোলন করতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় অপেশাদার ও উদ্ধত আচরণের জন্য দ্য নিউ এজ পত্রিকা এবং বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম থেকে চাকরি ছাড়তে হয়েছে ডেভিড বার্গম্যানকে। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার অভিযোগ ছিল। এবং এই কারণেই মূলধারার গণমাধ্যমে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিদেশে অবস্থান করা কিছু নামধারী সাংবাদিকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর একটি নেত্র নিউজ নামে আরেকটি নিউটসাইটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেন।
কী চায় বার্গম্যানরা?
বার্গম্যান বিদেশে থাকা বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং বিএনপি-জামায়াতের আরো ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি নিয়মিত বানোয়াট সংবাদ তৈরি করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালান। সম্প্রতি এই চক্রটি ফেসবুক এবং ইউটিউবেও লাইভ বক্তব্য দিয়ে এবং ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। মানুষের আরো কাছে পৌঁছার জন্য এদের প্রচেষ্টা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ডেভিড বার্গম্যান, ক্যাডম্যান, লা কার্লিলি, ড. ঘুমডি, দ্য গার্ডিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়্যারসহ আরো বেশকিছু প্লাটফর্ম তাদের পক্ষে কাজ করছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- তাদের অর্থের জোগানদাতা বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি ও দুর্বত্তায়নের ঘৃণ্য ভাবমূর্তি উদ্ধারের স্বার্থে কাজ করা।
তারেক-এসকে সিনহা-ড. কামালকে একত্র করা হয় যেভাবে
অর্থ পাচার এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুনের জন্য সন্ত্রাসীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির তারেক রহমান এই ডেভিড বার্গম্যানের সহায়তায় ড. কামালের সঙ্গে সরকারবিরোধী জোট গড়ে তোলেন। ড. কামাল হোসেনের জামাতা বার্গম্যান মূলত সরকারবিরোধীদের এক প্লাটফর্মে আনার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত যে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে, সেই সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসে এখন তারেক রহমান এবং ড. কামালদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং অসাংবিধানিকভাবে সরকার পরিবর্তনের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের হয়ে কাজ করেছে। ডেভিড বার্গম্যানই ড. কামাল-তারেক রহমান-এস কে সিনহার মধ্যে এই সংযোগ তৈরি করে। কিন্তু এই ত্রয়ীর বিভিন্ন অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, এখন তারা ভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন পাবলিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, দেশেের প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট গুজব ছড়াচ্ছে।
- সেনাপ্রধান: সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু
- পাকিস্তানে ‘সবচেয়ে আর্দ্র এপ্রিল’ রেকর্ড
- কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সুন্দরবনে আগুন
- ফের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজীব
- আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ ঢাকায় আসছেন
- অর্থ আত্মসাৎ এএসআইর
- অস্ত্রসহ মাদক কারবারি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
- সুন্দরবনে আগুন
- মারা গেছেন বলিউডের প্রবীণ পরিচালক সুনীল শর্মা
- ১৩ কিমি ধাওয়া করে মোটরসাইকেল উদ্ধার
- বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা
- হজযাত্রীদের সেবায় আশকোনায় কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি
- চিকিৎসা নিজেই করল ওরাং ওটাং!
- বলিউড মাতাতে চলেছেন আসিফ
- কেরানীগঞ্জে জনসভা
- আনারস নিয়ে প্রার্থীর মিছিল
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- গণপূর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
- সাভারে নির্জন এলাকায় মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম
- গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনায় বরখাস্ত ৩
- কুলিং জোন করবে উত্তর সিটি
- স্বস্তিতে নগরবাসী
- এমপিদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মানুষ কেনাবেচার হাটে ভীড় বাড়ছে
- মাদক ব্যবসায় জড়াচ্ছে নারীরাও
- দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির লা*শ
- ৯ মে পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চলবে
- শিয়ালের পেটে গেল বৃদ্ধার আঙুল
- সাভার ও রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার ৫
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- তীব্র গরমে স্কুলের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- সাভারে ফের উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব
- আমাদের সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে বৃষ্টি না হলে
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- অস্ত্রসহ মাদক কারবারি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- ১৩ কিমি ধাওয়া করে মোটরসাইকেল উদ্ধার
- সাভার ও গাজীপুরে দুটি ওয়াইজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত
- হজযাত্রীদের সেবায় আশকোনায় কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি
- সাভারে আটোরিকশা নিয়ে র্যালি
- মুহিতের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- ৯ মে পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চলবে
- সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকেলে
- স্বস্তিতে নগরবাসী
- ‘বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে দক্ষ শ্রমিক দিতে পারবে’