• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ওমানে বিমানের সুপরিসর উড়োজাহাজ চালুর দাবি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯  

মরদেহ, অসুস্থ যাত্রী পরিহন ও ব্যাগেজ জটিলতা নিরসনে অবিলম্বে ওমানের মাস্কাট রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুপরিসর উড়োজাহাজ চালুর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সমিতি ওমান। এ জন্য বিমান মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ওমান প্রবাসীদের কল্যাণে নিয়োজিত সংগঠনটি।

বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তাপস বিশ্বাস। 

বিবৃতিতে বলা হয়, গত হজ মৌসুমের মধ্য জুলাই থেকে এ রুটে বোয়িং ৭৭৭ বন্ধ রাখা হয়েছে। হজ শেষে ২৭ আগস্ট থেকে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। আশা করা হয়েছিল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ওমান রুটে আবার বড় উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হবে। স্থানীয় বিমান কর্তৃপক্ষও তেমনটি আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা আর চালু হয়নি। সপ্তাহে সাত দিনই চলছে বোয়িং ৭৩৭। ফলে গত প্রায় ৬ মাস ধরেই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ওমান প্রবাসী প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি।

সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক বিনামূল্যে প্রবাসীদের মরদেহ পরিবহন করে বিমান। এ সুবিধায় দীর্ঘদিন ধরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করেই দেশে প্রবাসীদের মরদেহ পাঠানো হতো। এখন সপ্তাহে সাত দিনই বোয়িং ৭৩৭ চলাচল করায় সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রবাসীরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মরদেহ পরিবহনের সক্ষমতা নেই বোয়িং ৭৩৭ দিয়ে এ রুটে চলাচলকারী বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের। তারপরও এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সমিতির অনুরোধে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বেশ কয়েকটি মরদেহ বিনামূল্য দেশে পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছে এবং করছে। কিন্তু সংস্থাটির ১৮৬ আসনের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজে সবসময় মরদেহ সংকুলান করা সম্ভব হয় না। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশি বিমানসংস্থার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে ওমান প্রবাসীদের। কিন্তু বিদেশি বিমানে ১৭০ ওমানি রিয়াল (বাংলাদেশি প্রায় ৩৭ হাজার টাকা) চার্জ গুণতে হয়। প্যাকেজিং ও প্রসেসিংয়ের জন্য ৩০০ ওমানি রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৬ হাজার টাকা) দিতেই যখন শ্রমিক শ্রেণি, অসহায় ও দুঃস্থ প্রবাসীদের সামর্থ্য কুলায় না সেখানে বাড়তি ৩৭ হাজার টাকা চার্জ কীভাবে দেবেন। প্যাকেজিং ও প্রসেসিংয়ের অর্থ যোগানের ক্ষেত্রে দূতাবাস, চট্টগ্রাম সমিতিসহ বাংলাদেশি সংগঠনগুলো ও কমিউনিটির বিত্তবানরা প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন বিদেশি বিমানের বাড়তি চার্জ যোগাতে সবারই হিমশিম খেতে হচ্ছে।