• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘টিআইবির রিপোর্টে কোনো রিসার্চ নেই’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯  

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না যদি এই ত্রুটিগুলো না হতো, তাহলে আওয়ামী লীগ হারতো আর ঐক্যফ্রন্ট জিতে যেতো। যারা ক্রিটিসাইজ করছে, তারাও বলছে, ত্রুটিগুলো না হলেও আওয়ামী লীগ জিতে যেতো। ত্রুটিগুলো করার দরকারটা কী ছিলো? কাজেই আওয়ামী লীগের বিজয় নিয়ে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় কারো দ্বিমত নেই।

শুক্রবার গণমাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, নির্বাচনের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে অনেক আলোচনা করা যায়, আমি নিজেও মনে করি না যে, এটি ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন। এখানে বেশকিছু ত্রুটি বিভিন্ন জায়গায় ছিলো। বাংলাদেশে অতীতে যে সকল নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, সে সকল নির্বাচনেও ত্রুটি ছিলো। ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না।

তাহলে কি আওয়ামী লীগ নিজেই নিজের বিজয়কে কলঙ্কিত করেছে? উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের এ প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, সেটাই প্রশ্ন। এটা কি কেউ করবে? এটা তো করার কথা না। অনেক বিষয় এ প্রশ্নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ বলছে ত্রুটি কম হয়েছে, কেউ বলছে অনেক বেশি হয়েছে। আসলে যে যার মতো বলছে। অনেক ইন্টারেস্ট গ্রুপ এ বিষয়ে খেলছে। যেমন পর্যবেক্ষকরা দেখে একরকম বলেছে, অন্যদের মুখে শুনে তারা আবার অন্যরকম বলেছে। নির্বাচন বিষয়ে টিআইবির রিপোর্টকে ক্লাস এইটের একটি রচনার সঙ্গে তুলনা করেন আরাফাত। তিনি বলেন, টিআইবির নির্বাচন অবজারভ করারই মেন্ডেট নেই। তারপরও যদি কিছু বলতে চাইলে ইনডিরেক্ট যতগুলো সোর্স আছে, তা থেকে খবর নিয়ে একটি গবেষণা করে একটি রিপোর্ট দিতে পারতো। কিন্তু এটার মধ্যে কোনো রিসার্চ নেই।

তিনি আরো বলেন, মানুষের ম্যান্ডেটই সরকারের পক্ষে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পক্ষে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি ইলেকশন রিট করে উল্টো করে দেয়া হতো, তাহলে মানুষকে ঘরে বসিয়ে রাখা সম্ভব হতো না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। নির্বাচনে ত্রুটি না হলেও শেখ হাসিনা ২৫০-২৮০টি আসন পেতেন। এটা শুধু আমি না, গোটা বিশ্ব বলছে।