• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দ্রুততার সাথে এগুচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্বপ্নটা প্রথমে দেখা দিয়েছিলো ১৯৬১ সালে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের উদ্যোগনেওয়া হয় তখন। আর সেই সময়ই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো ২৬০ একর জমি। তখনো দেশ স্বাধীন হয়নি। পাকিস্তানিদের কু চক্রান্তে হঠাৎইধূলিসাৎ হয়ে যায় স্বপ্নের এই প্রকল্পের কাজ। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে প্রকল্পের জন্য যে যন্ত্রপাতি জাহাজে আনা হয়েছিল সেসব যন্ত্রপাতি চট্টগ্রাম বন্দরে নাএনে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। এরপর আর এই প্রকল্পের কাজ আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি।

তবে রূপপুরের স্বপ্নকে বাস্তবে ফিরিয়ে নিতে ২০১০ সালের ২১ মে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ রাশিয়ার সাথে প্রকল্প নিয়ে একটি চুক্তিস্বাক্ষর করে। চুক্তি বাস্তবায়নের সময়কাল সাত বছর ধরা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালেরঅক্টোবরে উৎপাদনে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৬০ বছর ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাবনার রূপপুরে এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থাআণবিক শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটম এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, বর্তমানে এ প্রকল্পের মূল ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। সেই সঙ্গে রিঅ্যাক্টর, টারবাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কাজও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফাউন্ডেশনেরকংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এরপর সুপার স্ট্রাকচারের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির ২৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, নিরাপত্তার দিককে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর দুটিরপ্রতিটিতে ১৫টি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে ৭টি অ্যাকটিভ অর্থাৎ বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত এবং  ৮টি প্যাসিভ অর্থাৎ বিদ্যুৎ ছাড়া চালিত। নিউক্লিয়াররিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেলের নিচে থাকছে প্রায় ৭৫০ মেট্রিক টন ওজনের একটি মোল্টেন কোর ক্যাচার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এও জানিয়েছে যে,নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে এই প্রকল্প নির্মাণের কাজ। এই ব্যাপারে সরকার সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রয়েছে। তারা চায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন সম্পন্ন হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।