• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

গোপনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, বহিষ্কার হচ্ছেন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকলেও স্বতন্ত্র হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গোপনে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন বিএনপির একাধিক নেতা। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডি এম জিয়াউর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের ছেলে দেওয়ান রাবিন আনোয়ার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিনসহ অনেকেই। জানা গেছে, গোপনীয়তা রক্ষা করে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল করেন।

এদিকে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোপনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, দলীয় নয়। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র থেকে নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ, বাগমারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দপ্তরের তথ্য মতে, উল্লেখিত বিএনপির নেতারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র তুলে দাখিল করেছেন। অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল করা হয়। তার সঙ্গে উপজেলা বা জেলা বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা-কর্মী ছিলেন না। দলীয় নেতা-কর্মী এবং এলাকার লোকজনও বিষয়টি জানেন না। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে এর আগে ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য দলীয় কোনো প্রার্থীকেও মনোনয়ন দেয়নি দলটি।

এদিকে সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু তাই নয়, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ কোথাও প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যাব না। সুতরাং এটা বলাই যায়— আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। আর যদি বিএনপির কোনো নেতা দলীয় সিদ্ধান্তে বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বা নির্বাচনে অংশ নেন তবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

এদিকে বিএনপির যেসব প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করেছেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে মনস্থির করেছেন তারা প্রত্যেকেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, জনগণ চায় প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তৃণমূল সমর্থকদের চাপ এড়ালে রাজনীতি করার কোনো অর্থ থাকে না। তাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি, নির্বাচনও করবো। এরপর দল যদি বহিষ্কার করে তবে কোনো আপত্তি নেই।