• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যে কারণে দেরিতে এলো হেমন্ত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

বাংলা পঞ্জিকায় পরিবর্তন এসেছে। প্রথমবারের মতো ৩১ দিনে আশ্বিন মাস পূর্ণ হয়েছে। যে অনুযায়ী আজ ১ কার্তিক (নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী), শুরু হলো ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এ দুই মাস এই ঋতু। আগের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২ কার্তিক। ফলে এবার একদিন পর শুরু হলো হেমন্তের।

বাংলা একাডেমির বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ক্যালেন্ডার সংস্কারের বিষয়টি প্রজ্ঞাপন দিয়েও জানিয়েছিল। সে অনুযায়ী চলতি ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকেই সরকারীভাবে নতুন পঞ্জিকা অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি কার্যকারিতা পায় বুধবার, আশ্বিন-কার্তিকের সন্ধিক্ষণে এসে।

বাংলা বর্ষপঞ্জির এই সংস্কার করতে দীর্ঘদিন গবেষণা করতে হয়েছে বাংলা একাডেমিকে। মূলত জাতির ইতিহাসের গৌরবময় দিনগুলো বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে অভিন্ন তারিখে সমন্বয় করতেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে এই সংস্কার আনা হয়েছে। যেমন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন, কিন্তু সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি পড়ত ৯ ফাল্গুন।

কিন্তু নতুন ক্যালেন্ডারে আগামী ১০০ বছর মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস বাংলাবর্ষের যে তারিখে ঘটেছে, ইংরেজী ক্যালেন্ডারের সঙ্গে তার হেরফের হবে না।

এদিকে, পুরনো নিয়মে বৈশাখ থেকে ভাদ্র এই পাঁচ মাস গণনা করা হত ৩১ দিনে। আর আশ্বিন থেকে চৈত্র সাত মাস হতো ৩০ দিনে। তবে ইংরেজী লিপইয়ারে ফাল্গুন মাস ৩১ দিনে হতো। এখন নতুন নিয়মে বৈশাখ থেকে আশ্বিন- প্রথম ছয় মাস ৩১ দিনে হবে। কার্তিক, অগ্রাহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র- এই ৫ মাস হিসাব করা হবে ৩০ দিনে।

সে হিসেবে বাকি থাকলো একটি মাস ফাল্গুন। আর এ মাস মাস হিসাব করা হবে ২৯ দিনে। ইংরেজি লিপইয়ারের বছর এক দিন বেড়ে ফাল্গুন হবে ৩০ দিনের মাস।

প্রসঙ্গত, বাংলা বর্ষপঞ্জি এর আগেও দুই দফা সংস্কার হয়েছে। পঞ্চাশের দশকে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ড. মেঘনাদ সাহার নেতৃত্বে এবং ১৯৬৩ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে এ সংস্কার হয়। ২০১৫ সালে অধ্যাপক অজয় রায়কে প্রধান করে একটি কমিটি করে বাংলা একাডেমি। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই ২০১৯ সালে করা সরকারী ছুটির তালিকা নতুন নিয়মে করা হয়েছে।