• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হিমালয়ে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৮  

হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ৮ দশমিক ৫ কিংবা তারও অধিক মাত্রার ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ‘জিওলজিকাল জার্নাল’ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রিখটার স্কেল ৮.৫ বা তারও অধিক মাত্রার ভূমিকম্পে তোলপাড় হতে চলেছে হিমালয় পর্বতমালা। সেই দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়েছেন একদল মার্কিন বিশেষজ্ঞও।

বেঙ্গালুরুর ‘জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ’-এ ভূকম্পবিদ সি পি রাজেন্দ্রনের নেতৃত্বে চালানো হয়েছে এই গবেষণা। সেখানেই দেওয়া হয়েছে এই প্রলয়ের পূর্বাভাস। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে হিমালয়ের তলার প্লেটে চাপ বাড়ছে। প্লেটের একটি অংশ আরেকটি অংশের ওপর কয়েকশ’ বছর ধরে চাপ বাড়িয়ে চলেছে। মাটির তলার প্লেট সেই চাপ সহ্য না করার জায়গায় পৌঁছেছে। অন্তত একটি ৮.৫ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

রাজেন্দ্রন বলছেন, পশ্চিম নেপালের মোহন খোলা এবং ভারতের চোরগলিয়া, এই দুই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালানো হয়েছে। স্থানীয় স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পাশাপাশি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং গুগল আর্থের বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে এলাকার ভূপ্রকৃতির পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর পরেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদদের দলটি।

তিনি বলেন, মাটির তলার চাপ যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেখানে একটি অংশ অন্য অংশের থেকে প্রায় ১৫ মিটার সরে যেতে পারে। মাটির তলার এই ১৫ মিটার সরনের প্রভাব বহু গুনে বেড়ে পৌঁছবে ওপরে। যার ভয়াবহতা বিচার করার জায়গায় এই মুহূর্তে নেই বিজ্ঞানীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নেপাল-হিমালয়ে ভূকম্পনের তীব্রতা ছিল ৮ দশমিক ১। এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা নেপাল; প্রাণ হারিয়েছিল ৯ হাজার মানুষ। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল দেশটির অর্থনীতি। ২০০১ সালে গুজরাত ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭, যা কেড়ে নিয়েছিল অন্তত ১৩ হাজার প্রাণ।

সি পি রাজেন্দ্রন বলেছেন, ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে হিমালয়ে তোলপাড় তৈরি হলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে উত্তর ভারত। এই মাত্রার কম্পনের পরিণতি হবে মারাত্মক। এই প্রলয় সামাল দেওয়ার কোনও প্রস্তুতি ভারতের হাতে নেই। গত কয়েক বছর ধরেই হিমালয়ের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট কম্পন আমরা লক্ষ্য করছি, যা আসলে বড় মাত্রায় কেঁপে ওঠার লক্ষণ।

ভারতীয় ভূবিজ্ঞানীদের এই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত মার্কিন বিজ্ঞানীরা। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রজার বিলহ্যাম বলেন, হিমালয়ে ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আসন্ন।