• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রূপচর্চায় গোলাপের কার্যকরী ব্যবহারগুলো জানেন কি?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯  

গোলাপকে বলা হয় ফুলের রানী। গোলাপ ফুল এতোটাই সুন্দর যে, এই ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এর সৌন্দর্য আর সুবাসে মুগ্ধ হয় সবাই। জানেন কি এই ফুল শুধু বাগান বা ঘরের শোভা বর্ধন করে না, বরং এর রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। এসব গুণের মধ্যে সৌন্দর্য চর্চার উপকরণও রয়েছে। বিভিন্ন প্রসাধনীতে গোলাপের পাপড়ি, নির্যাস প্রভৃতি ব্যবহার হয়ে থাকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় গোলাপের ব্যবহার-

১. গোলাপের পাপড়ি ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর। গোলাপের সুগন্ধ ত্বককে সতেজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিকেলসের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বিভিন্ন দূষণ, জীবাণু ও ইরিটেশন থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এক চা চামচ গোলাপের পাপড়ি বাটা বা গুঁড়োর সঙ্গে পরিমাণমতো পানি ব্যবহার করে লাগালে ত্বক সজীব হয়ে উঠবে। পানির বদলে মধুও ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. টোনার হিসেবে গোলাপজল খুবই ভালো কাজ করে। ফ্রেশ অর্গানিক গোলাপজল ক্লিনজিংয়ের পর ব্যবহার করুন, ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হবে। ঘরেও তৈরি করা যায় গোলাপের টোনার। এর জন্য এককাপ পানিতে একমুঠো গোলাপের পাপড়ি ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তারপর নামিয়ে ছেঁকে ঢেকে রেখে দিন ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত। এবার এর সঙ্গে তিন ফোঁটা গোলাপের অ্যাসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে সংরক্ষণ করুন টোনার হিসেবে।

৩. শুষ্ক ও স্পর্শকাতর ত্বকে গোলাপের ময়েশ্চারাইজার খুবই ভালো কাজ করে। গোলাপের তেল ত্বকের কোষে আর্দ্রতা জোগায়। ফলে ত্বক থাকে সতেজ। ময়েশ্চারাইজার তৈরির জন্য সিকিকাপ অর্গানিক গোলাপজলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু, এক কাপ সিয়াবাটার একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এর সঙ্গে পাঁচ ফোঁটা জেরানিয়াম অ্যাসেনশিয়াল অয়েল, পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ও পাঁচ ফোঁটা টিট্রি অয়েল মিশিয়ে ঠাণ্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এই ক্রিম সব ধরনের ত্বকে এমনকি ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করতে, বিভিন্ন দাগ, র‌্যাশ ইত্যাদি দূর করতেও ভালো কাজ করে।

৪. মেছতা সারাতে গোলাপ খুবই কার্যকর। গোলাপের পাপড়িতে রয়েছে ভিটামিন-সি, যা মেছতা সারাতে ভালো কাজ করে। কটনবল গোলাপজলে ডুবিয়ে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় ঘষে নিন। এর প্রতিদিন ব্যবহারে মেছতা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।

৫. গোলাপের পাপড়ি বাটা ত্বকের পেশি শক্ত করে, পোরস বন্ধ করে এবং ত্বক রাখে ঝকঝকে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও তাই গোলাপের পাপড়ি উপকারি। ব্রণপ্রবণ ত্বকেও এই মিশ্রণ ভালো কাজ করে।

৬. প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে গোলাপ। যাদের রোদে পোড়া ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও গোলাপের পাপড়ি ও গোলাপের পাপড়ির মিশ্রণ খুবই উপকারি। গোলাপের পাপড়িতে থাকা ভিটামিন-সি সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা করে। বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে গোলাপজল লাগিয়ে নিন। এটি প্রাকৃতিক সানব্লক হিসেবে কাজ করবে। ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক কাপ ফুটানো পানিতে একমুঠো গোলাপের পাপড়ি দিয়ে আধা ঘণ্টা পর ছেঁকে নিন। প্রতিদিন রোদে পোড়া ত্বকের ওপর ব্যবহার করুন। ত্বক ধীরে ধীরে এর স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবে।