• সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

  • || ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ড. মোশাররফের রমরমা মনোনয়ন বানিজ্য

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো বিদেশে বসে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্যান্য নেতারাও বাদ যাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে বেনামী ও উড়ে এসে বসা লোকজনকে বিএনপির নমিনেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থের লোভে একাদশ নির্বাচনে বিএনপির টিকেটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে চলছে তোলপাড়। দলের এক নেতা যথারীতি অন্য নেতাকে দায়ী করছেন। তবে বিএনপির দ্বিতীয় সারির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল নেতাই টাকার জন্য একরকম পাগল হয়ে গিয়েছেন। প্রত্যেকেই বিভিন্ন ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, উঠতি নেতাকে মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন। এমনও হচ্ছে যে একটি আসনের বিপরীতে নেতারা ৩০ জনেরও অধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এসকল টাকার বড় একটি অংশই চলে যাচ্ছে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়ার কাছে।

তবে এবার বোধোহয় বেশ ভালোভাবেই ফেঁসে যাচ্ছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মির্জা ফখরুলকে সাথে নিয়ে তিনি আলাদা একটি বলয় গড়ে তুলেছেন। তাদের প্রাপ্ত টাকা তারা লন্ডনে পাঠাননি, তাই চটেছেন তারেক।

এছাড়া, এবার যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নমিনেশন দেয়ায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের কাছেও চরমভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন মির্জা ফখরুল। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর অনুপস্থিতিতে পিরোজপুর-১ আসন থেকে তারই মেজপুত্র শামীম সাঈদীকে নির্বাচনে সমর্থন দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হয়েছেন তিনি।

এ সমস্ত বিষয় ইতিমধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মির্জা ফখরুল ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এসব আচরণে আমরা রীতিমত বিব্রত। এসব নেতাদের মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে তারেক রহমান অবগত আছেন। তিনি আমাকে নির্বাচনে জয়ী হবার পর এসব নেতাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।