• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যে কারণে শামা ওবায়েদ ও নিপুণ রায়কে টপকে মনোনয়ন পেলেন রুমিন ফারহান

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। ২০ মে নির্বাচন কমিশনে রুমিন ফারহানা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিকে রুমিন ফারহানা নিপুণ রায়, শামা ওবায়েদ, আফরোজা আব্বাসের মতো পরীক্ষিত নেত্রীদের টপকিয়ে কিভাবে মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন, সেটি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চলছে নানা বিশ্লেষণ ও গুঞ্জন।

সূত্র বলছে, বিএনপির ত্যাগী নেত্রীদের মধ্যে সব চেয়ে এগিয়ে ছিলো বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এই তিন জনের মধ্যেই একজনকে মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পছন্দের ব্যক্তি রুমিন ফারহানা হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি গ্রিন সিগন্যাল পান।

কেন যোগ্য ও পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে রুমিন ফারাহানাকে মনোনয়ন দেয়া হলো, এমন প্রশ্ন করা হলে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিগত সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় সামনে থাকায় আমার পুত্রবধূ নিপুণ রায় ছিল মনোনয়ন তালিকায় সবার উপরে । তাই সবাই নিপুণ রায়কে মনোনয়ন দিতে সম্মতি জানায়। দুঃখের বিষয়, জনমতকে উপেক্ষা করে রুমিনকে মনোনয়ন দেন তারেক রহমান। কেননা বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ ইস্যুতে তারেক রহমানের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব চলছে, এটা প্রায় সকলেরই জানা। ফলে নিপুণ রায় আমার পুত্রবধূ হওয়ায় তার নাম কেটে দেন তারেক রহমান।

অপরদিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে মনোনয়ন না দেবার বিষয়ে কথা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, শামা ওবায়েদ সাংগঠনিক ভাবে খুব জনপ্রিয় নেত্রী নন। এছাড়া বিভিন্ন টকশোতে তিনি বিএনপির হয়ে যৌক্তিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। মূলত এ কারণেই শামা ওবায়েদকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

মনোনয়ন নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির নারী নেতৃত্বে সব চেয়ে যোগ্য তিনটি নাম হলো-শামা ওবায়েদ, আফরোজা আব্বাস ও নিপুণ রায়। কিন্তু এই তিনজনকেই মনোনয়ন দেয়া হলো না, শুধু মাত্র বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। এতদিন পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতিতে পুরুষদের মধ্যেই দলীয় কোন্দল ছিলো। কিন্তু বর্তমানে নারী নেত্রীদের নিয়েও রাজনীতি চলছে। যা খুবই দুঃখজনক।