• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দলকে বাঁচাতে স্থায়ী কমিটির পরিবর্তনের পরিকল্পনা তারেকের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক : বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে ব্যর্থ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উপর অভিমান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অনাগ্রহতা, ভুল রাজনৈতিক কৌশলের কারণে বিএনপি দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়ছে বলেও বিশ্বাস করেন তারেক। যার কারণে চলতি বছরের শেষ দিকে স্থায়ী কমিটিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

যুক্তরাজ্য বিএনপির দুজন দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তারেক রহমানের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানা গেছে।

এদিকে লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিক মনে করেন স্থায়ী কমিটির উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না তারেক রহমান। আব্দুল মালিক বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সমন্বয়হীনতা, অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করা, বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ভীতির বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মনোভাব বুঝতে পেরেই তারেক রহমান দলকে ঢেলে সাজানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই বিষয়ে দলীয় মতামত জানার জন্য ২০ মে রাতে মির্জা ফখরুলকে ফোন করলে কোন সদুত্তর পাননি তারেক।

তিনি এও জানান, তারেক মনে করেন-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে! তাই তাদের মতামত ছাড়াই সব সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ কারণে বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র ও দাতাদের চাপে পড়ে বিএনপিকে রাজপথে ফেরাতে স্থায়ী কমিটি নতুন করে সাজাতে পরিকল্পনা শুরু করেছেন তারেক।

স্থায়ী কমিটির পরিবর্তনে তারেক রহমানের মনোভাবের বিষয়ে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম কেবল মাত্রই আলোচনা সভা, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এতে যেমন সমালোচনা বাড়ছে, তেমনি তৃণমূলে অসন্তোষও গভীর হচ্ছে। তাই এই কমিটি বাতিল করে তরুণদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করার বিকল্প কিছু দেখছেন না তারেক।

তিনি আরো বলেন, দলকে রাজপথমুখী করে দাবি আদায় করতে তাই প্রয়োজনে বৃদ্ধ-বয়োজ্যেষ্ঠ ও কৌশলী নেতাদের মাইনাস করতে চান তারেক। এই বিষয়ে সিনিয়রদের মনোভাব জানতে লন্ডন থেকে ঢাকায় যোগাযোগ করছেন তিনি। সিনিয়র নেতাদের অসন্তোষ থাকলেও দলের দুর্দিনে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারেক।

এদিকে দলীয় একটি সূত্র বলছে, স্থায়ী কমিটিতে বড় ধরণের পরিবর্তনের আভাসে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা। কে থাকবেন আর কাকে বিদায় করে দেয়া হবে, সেটি নিয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।