• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮  

বুধবার গণভবনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মনোনয়ন বঞ্চিতের শঙ্কায় থাকা নেতাদের কথা শুনেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবারও সারাদেশে বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কথা শোনেন তিনি।

বৃহস্পতিবার মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় থাকা অনেকে গণভবনে যান। একসঙ্গে এত নেতাকর্মীর আগমনের খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিচে নেমে আসেন। সমবেতরা জড়ো হন ব্যাংকুয়েট হলে। শেখ হাসিনা কার কী বক্তব্য আছে তা শুনতে চান। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, একে একে অনেকের বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা সবার উদ্দেশে বলেন, ‘এক একটি আসনে অনেক প্রার্থী। তারপর নির্বাচনী জোটও আছে। জরিপ অনুসারে সবখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী জোটের কারণেও কিছু আসন ছাড়তে হবে। তাই কেউ মনোনয়নবঞ্চিত হলেও সবাইকে নৌকা ও জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. মালেক শেখ, শাহনেওয়াজ পাটোয়ারি, অ্যাড. সিরাজসহ অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী বলেন, ‘আমি নেত্রীকে বলেছি আমাদের বর্তমান যে এমপি তার ব্যাপারে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি কী সেটা আপনি জানেন। সুতরাং এ বিষয়ে বেশিকিছু বলতে চাই না। তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনা করে একজন যোগ্য মানুষকে মনোনয়ন দিবেন সেটা আমরা আশা করি।’

বুধবার রাতে মনোনয়ন প্রত্যাশী গাইবান্ধা-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ দেখা করেন। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নেত্রী আমাদের কথা শুনেছেন। আমাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবেন। আশ্বাস দিয়েছেন। আমি বর্তমান এমপি হিসাবে আমার কথা তুলে ধরেছি।’

ঝিনাইদহ-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী টিএম আজিবর রহমান মোহন বলেন, ‘আমি জাতির জনকের সহকর্মী। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ছিলেন। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দীর্ঘ তিন যুগ ধরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। আমি গতবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম।’

তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘আমরা লোকমুখে শুনছি আপনি একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হুমকির মুখে পড়বে এবং আওয়ামী বিরোধী চক্রের হাত শক্তিশালী হবে। বাকিটা আপনি বিবেচনা করে আপনার বিবেচনায় যোগ্যকে নৌকা দেবেন। এটা আমরা আশা করি।’