• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মার্কিন সতর্কতা সত্ত্বেও রাফাহতে হা*মলা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৪  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজা উপত্যকার জনাকীর্ণ দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে আক্রমণ চালালে ইসরায়েলকে আর্টিলারি শেল ও অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার শহরটিতে হামলা থেকে ধোঁয়া উঠল। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বেসামরিক প্রভাব সম্পর্কে ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর সতর্কবার্তা ছিল এটি।এএফপির একজন সংবাদদাতা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বৃহস্পতিবার রাফাহ শহরের বেশ কয়েকটি অংশে হামলার কথা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ বলেছে, সেখানে ১৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাফাহর নির্জন রাস্তায় তারেক বাহলুল বলেন, ‘ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানগুলো আঘাত করছে। প্রতি মিনিটে আপনি একটি রকেটের শব্দ শুনতে পাবেন। আপনি জানেন না এটি কোথায় অবতরণ করবে।

ইসরায়েল ইতিমধ্যে রাফাহর পূর্বাঞ্চলে ট্যাংক পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আপত্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে এবং অঞ্চলটিকে ‘অভিযানের লক্ষ্যবস্তু’ বলেছে। ইসরায়েলের মতে, শহরটিতে হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নের আবাস। সিএনএনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বুধবার বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইসরায়েল যদি রাফাহতে তার দীর্ঘ হুমকিপূর্ণ বড় স্থল আক্রমণ চালায়, তবে তিনি কিছু মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবেন। ইসরায়েল বৃহস্পতিবার বাইডেনের মন্তব্যকে ‘খুবই হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করে।

বাইডেন সিএনএনকে বলেছেন, ‘যদি তারা (ইসরায়েল) রাফাহতে যায়, আমি শহরগুলোকে মোকাবেলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো সরবরাহ করব না। যে অস্ত্র ও কামানের গোলাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে আমরা তা সরবরাহ করব না।’ রাফাহতে ইতিমধ্যে নেওয়া ইসরায়েলের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘তারা ঘনবসতি এলাকায় যায়নি।’ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলার ফলে এক হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

পাশাপাশি হামলার সময় জিম্মি করা ১২৮ জন গাজায় রয়ে গেছে বলে অনুমান করা হয়, যার মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। হামলার জবাবে ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে বন্দিদের মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের পর গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯০৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ বৃহস্পতিবার বলেছে, সোমবার থেকে ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু তারা ‘কোথাও নিরাপদ নয়’।