• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পার্থকে মনোনয়ন দিলে তোফায়েলের পক্ষ নেবে বিএনপির নেতারা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

সারাদেশে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া বইছে। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৩৬ দিন। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টে আসন বন্টন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এসবের মধ্যেই বিএনপিতে দেখা দিয়েছে দল ছেড়ে দেওয়ার প্রবনতা।

নির্বাচনে আলোচিত আসন ভোলা-১ (সদর) নিয়ে বেকাদায় পড়েছে বিএনপি। এই আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। একই আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে লড়বেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তবে শুনা যাচ্ছে ভোলা-১ (সদর) আসনটি শরিকদের ছেড়ে দিলে বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবেন।

এই আসনে বিএনপির ছয়জন ও আওয়ামী লীগের ছয়জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসনে কোনো দলই এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। ১৯৭৩ সালে এ আসনে প্রথম সাংসদ হন তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭৯ সালে বিএনপির নেতা মোশারেফ হোসেন শাজাহান। এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব নাজিউর রহমান। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আবার নির্বাচিত হন তোফায়েল আহমেদ। ২০০১ সালে মোশারেফ হোসেন ও ২০০৮ সালে আন্দালিভ রহমান। সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হন তোফায়েল।

বিএনপির নেতারা বলেন, গোলাম নবীকে মনোনয়ন না দিয়ে বিজেপি থেকে কেউ মনোনয়ন পেলে তাঁরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবেন—এসব কথা বলে বিএনপির অনেক নেতা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, এ আসনে তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন। এখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা শক্ত। আর গোলাম নবী আলমগীর বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বলেন, মনোনয়ন না পেলে জেলা বিএনপির একটি অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবে, এ ধরনের প্রস্তাব অনেক আগে থেকে আওয়ামী লীগের কাছে রয়েছে। তবে তাঁরা কখনো এটা বিশ্বাস করেননি, আমলেও নেননি।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, নিশ্চিত বিজয়ের জন্য তাঁর মনোনয়ন পাওয়া উচিত। তবে কেন্দ্র যা চাইবে, তিনি সে নির্দেশমতো কাজ করবেন।

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ বলেন, যাঁরা বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন না পেলে জোটের পক্ষে নির্বাচন করবেন না বলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেন, তাঁরা আসলে বিএনপি করেন না।

১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসনে মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার।