• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কোটি টাকায় বিক্রি হলো বিএনপির স্থায়ী কমিটির শূন্য পদ!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০ জুন স্থায়ী কমিটির দুটি পদ পূরণ হয়েছে। সেলিমা রহমান এবং ইকবাল মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ দুটি পূরণ করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, স্থায়ী কমিটির বাকি শূন্য পদগুলো খুব শিগগির পূরণ করা হবে।

এদিকে, বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সেলিমা রহমানকে সংসদের সংরক্ষিত কোঠায় মনোনয়ন না দেওয়ায় সান্ত্বনা হিসেবে স্থায়ী কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি সংসদে যেতে না পারায় মনঃক্ষুণ্ণ হেয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলে।

অন্য দিকে ইকবাল মাহমুদ টুকু ২ কোটি টাকার বিনিময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ পেয়েছেন বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, ইকবাল মাহমুদ টুকু এমনিই এখন বিএনপির কার্যক্রমের সঙ্গে নিষ্ক্রিয়। দলীয় কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায় না। তারপরও তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ দেওয়াটা বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। বিএনপিতে যারা কাজ করছেন, পরিশ্রম করছেন এবং দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন, তাদেরকে বাদ দিয়ে ইকবাল মাহমুদ টুকুকে এই পদ দেওয়াটা বেমানান ও হঠকারিতা।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে বিভিন্ন নেতাকে জিজ্ঞেস করছেন যে তারা স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ চান কিনা এবং এই পদের জন্য দলে কে, কতো দিতে পারবেন?

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির সদস্য পদের মনোনয়নে নেতা বিশেষে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত নিলামে উঠেছে। আবদুল আউয়াল মিন্টু ইতোমধ্যেই ৩ কোটি টাকা দিয়ে স্থায়ী কমিটির পদ পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, স্থায়ী কমিটির সদস্যপদে আবদুল আউয়াল মিন্টুর অন্তর্ভুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেকোনো সময় তিনি স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এছাড়া যারা টাকা খরচ করবে তাদেরকে স্থায়ী কমিটির সদস্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই দলের ত্যাগী পরীক্ষিত, বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এরকম ব্যক্তিদের বদলে টাকাওয়ালা, ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।