• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচনে জান-মাল নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই :রফিকুল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৮  

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে জান-মাল নিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আশঙ্কার কারণ নেই। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। আজ শনিবার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এ নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে চৌকিদার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী সবাই থাকবে। কাজেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাববেন না।

কমিশনার বলেন, ‘দরকার হলে আরো ব্যবস্থা নেব, যাতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরেও যদি কোনো দুর্ঘটনা হয়, তবে কথা দিচ্ছি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্লানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান-সম্মান, ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের মালামাল গ্রহণের সময় সব কিছু বুঝে নেবেন। এটা কিন্তু আইনে বলা নেই। তারপরও মালামাল এবং ব্যালট সবকিছু দেখে গ্রহণ করবেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এগুলো আপনাদের দায়িত্বে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা কারও কাছে এগুলো রেখে কোথাও যাবেন না। তারাও ব্যালটের অপব্যবহার করতে পারেন, যদিও তারা তা করবেন না।

কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বক্ষণিক এগুলোর সঙ্গে থাকবেন। কারণ এগুলো নেয়ার সময় আপনি (প্রিজাইডিং অফিসার) সই করে নেবেন। তাই এর দায়দায়িত্বও আপনার।

এ সময় প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া বেআইনি উল্লেখ করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অ্যালাউ না করতেও নির্দেশনা দেন কমিশনার। তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। আমার ভোট আমি প্রকাশ্যে দিয়েছি অসুবিধা কি? এ কথা অনেকেই বলতে পারেন। যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না। আপনারাও অ্যালাউ করবেন না।

রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেআইনি এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা-টেলিভিশনে দেখতে পাই, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেওয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত কাজটা করেন, তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার কথা নয়। যদি আপনি সেটিসফায়েড হন। সে সত্যিকার অর্থে ভোটার, তার ভোটটা অন্যকেউ দিয়ে গেছে। জাস্ট অ্যালাউ হিম উইদাউট এনি কোয়েশ্চেন।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনারা যদি আইনটাকে অনুসরণ করেন। তবে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।

রফিকুল ইসলাম বলেন, শিডিউলে ৪৬-৪৫ দিন বা যতদিনই থাকুক না কেনো নির্বাচন মানে একদিন, মানে সেই নির্বাচনের দিন। এই নির্বাচনের দিন কি হলো, এটা যদি ঠিক না হয়, এটা যদি আইনানুগ না হয় তাহলে পরে কিন্তু আমরা সবাই প্রশ্নবিদ্ধ হব।

তিনি আরো বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোর করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।