• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রোগীর কক্ষের ভেতরে-বাইরে মিলছে করোনার অস্তিত্ব, ছড়ায় বাতাসেও

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এবং কয়েক ঘণ্টা ধরেই সংক্রামক হিসেবে টিকে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, রোগী সুস্থ হয়ে চলে যাওয়ার পরও হাসপাতাল কক্ষের ভেতরে এবং বাইরে বাতাসে এই ভাইরাস বেঁচে থাকে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

করোনাভাইরাসের বিস্তার এবং টিকে থাকা নিয়ে মার্কিন বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় নতুন এসব তথ্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাসকার গবেষকরা এই গবেষণা করেছেন।

করোনায় আক্রান্ত ১১ জন রোগীর আইসোলেশন কক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। এতে রোগী হাসপাতাল ছাড়ার পর তার কক্ষের ভেতরে এবং বাইরে ভাইরাল কণাগুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, উচ্চ সংক্রমিত এই ভাইরাসের কণা শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায় না। বরং বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

তারা বলেছেন, নতুন গবেষণায় যে তথ্য পাওয়া গেছে- সেই অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি করোনা রোগীর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে না এলেও সংক্রমিত হতে পারেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পরিধানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন এই গবেষকরা।

নেব্রাসকা ইউনিভার্সিটির সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক দলের প্রধান জেমস ললার বলেছেন, ‌‘করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের সন্দেহকে আরও জোরাল করেছে এই গবেষণা। যে কারণে আমরা বলছি, রোগীকে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না এমন কক্ষে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। এমনকি রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও এটি করতে হবে।’

তবে ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাসকার গবেষকদের এই গবেষণার ফল এখনো কোনো বিজ্ঞানবিয়ষক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি।

এর আগেও বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বাতাসে এবং মানববর্জ্যের মাধ্যমে ছড়াতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এ ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর এটি বিশ্বের শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া মারা গেছেন ৪২ হাজারের বেশি। একেবারে নতুন এই ভাইরাসকে বোঝার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা।

তবে বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: ডেইলি মেইল