• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দেরিতে ভাড়া: শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ডাস্টবিনে ফেললো বাড়িওয়ালা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২০  

একজন শিক্ষার্থীর সারাজীবনের অর্জন তার সার্টিফিকেট, সেই সার্টিফিকেট, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ সবকিছু সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে তুলে দিয়েছে ওই বাড়িওয়ালা। যখন জানতে পারলাম সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় আসি। এসে দেখি জিনিসপত্র কিছুই নেই বাড়িওয়ালা ডাস্টবিনে সব ফেলে দিয়েছে। নিজের এতো বছরের অর্জিত সব সার্টিফিকেট তার সঙ্গে মূল্যবান সব জিনিসপত্র হারিয়ে এভাবেই অশ্রুসিক্ত নয়নে বর্ণনা দিচ্ছিলেন ঢাকা কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ সজীব৷ 

দীর্ঘ চার বছর ধরে থাকেন রাজধানীর কলাবাগান এলাকার ৪/এ, ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিট এর রুবী ভবনের নীচতলায়। শুধু সজীবই নয় মেসে থাকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র,ল্যাপটপসহ শিক্ষাজীবনে অর্জিত মূল্যবান সব সার্টিফিকেট হারিয়েছেন একই ফ্লাটে থাকা আর আট শিক্ষার্থী ৷ 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর জিনিসপত্রসহ ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত সবকিছু বাসা থেকে বের করে তুলে দেয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িতে। আর কাজটি করেছেন বাড়িওয়ালা মুজিবুল হক ওরফে কাঞ্চন ৷ খবর পেয়ে ওইসব শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ এলাকা থেকে ফ্ল্যাটে এলেও ঢুকতে পারেননি তারা আর পাননি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও৷ 

ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী সজীব আরো বলেন, মার্চের ৫ তারিখ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করে আমরা বাড়ি যাই৷ এরপর বাড়িওয়ালা বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি বিল বাবদ আরো ১৫ হাজার টাকা মোবাইলে পাঠায়। বাকি টাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ঢাকায় এসে পরিশোধ করার কথা ছিলো। টাকা পাঠানোর পরেই বাড়িওয়ালা আর ফোন রিসিভ করে না, পরে জানতে পারি আমাদের মালামাল সব ফেলে দেয়া হয়েছে। ঢাকায় ফিরে কিছুই আর অবশিষ্ট পায়নি। আমরা আমাদের সার্টিফিকেটসহ জিনিসপত্রগুলো ফেরত চাই, আমরা এর বিচার চাই। 

বাড়িওয়ালার এমন অমানবিক আচরণে ভুক্তভোগীর তালিকায় রয়েছে চার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে এই শিক্ষার্থীদের খোয়া গেছে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড। এখন পরীক্ষায় অংশ নেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এসব শিক্ষার্থী। 

বিষয়টি জানতে বাড়ির মালিক মুজিবুল হক ওরফে কাঞ্চনকে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত বাড়ির মালিককে ধরতে তার বাসায় অভিযান চালিয়েছি, আসামিকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেম, একই ঘটনায় ঘটেছে রাজধানীর ভূতের গলিতেও। সেখানেও মামলা হয়েছে। আমরা আসামিকে ধরতেও সামর্থ হয়েছি।