• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মির্জাপুরে অবৈধ ইটভাটায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯  

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া ইউনিয়নে চলছে তিনটি অবৈধ ইটভাটা। বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন না থাকলেও ইটভাটা মালিকরা বছরের পর বছর ইটভাটা চালিয়ে আসছেন। ভাটার কালো ধোঁয়া ও তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে স্থানীয়রা। অপরদিকে ওই তিনটি ইটভাটার ইট গ্রামীণ পাকা সড়ক দিয়ে ভারি ট্রাকযোগে পরিবহন করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক ও ব্রিজ। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ ভাটা মালিকরা প্রতিবছর প্রশাসনের সাথে আতাত করে অবৈধ ইট  ভাটা চালাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর ভাতকুড়া মৌজায় এমবিএস, তেঘুরি মৌজায় আলমগীর হোসেন এবিএম ও কড়াইল মৌজায় বিএনপি নেতা আলী হোসেন খোকন ও মোয়াজ্জেম হোসেন এমএসবি নামে তিনটি ভাটা স্থাপন করেন। এই তিনটি ইট ভাটা আবাদী জমির ওপর এবং দুই কিলোমিটারের মধ্যে। ভাটা তিনটির দায়িত্বরত ম্যানেজাররা বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতিপত্র দেখাতে না পারলেও বলেছেন হাইকোর্টে রিট করে চালানো হচ্ছে। তবে তারা রিটের কপি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাতকুড়া গ্রামের স্থানীয়রা জানান, বিভাস সরকার নুপুর মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বসতি এলাকায় আবাদী জমিতে ভাটা স্থাপন করেন। তার ভয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তাকে অনুসরণ করে কড়াইল ও তেঘুরি মৌজায় পাশাপাশি আরও দুটি ভাটা স্থাপন করা হয়েছে। ওইসব ভাটার যানবাহনের কারণে রাস্তায় চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

কড়াইল গ্রামের কৃষক মুকছেদ আলী ও রমজান আলী জানান, ইটভাটার কারণে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। ভাটা স্থাপনের আগে একশ শতাংশ জমি চাষ করে ৭০ থেকে ৮০ মন ধান পাওয়া যেত। এখন ৪০ থেকে ৪৫ মন ধান পাওয়া যায়। তাছাড়া ভাটার পাশের বাড়িতে ফলের গাছে ফল ধরছে না।

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মালেক বলেন, ‘ওইসব ভাটার কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’