• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সড়ক যেন ধানের ক্ষেত, মেম্বার বললেন চেয়ারম্যান জানেন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৯  

কার্পেটিং উঠে সড়কের বেহাল অবস্থা। খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন গর্তে পড়ে আটকে যায়। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। এ অবস্থায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়ক।

আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া সড়কটি স্থানীয়দের কাছে এখন মরণ ফাঁদ। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে। পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে যায় পুরো সড়ক। দেখে মনে হয় ধানক্ষেত।

 

রোববার (২৩জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির বেহাল দশা। সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কটির অধিকাংশই ভাঙা। সড়কে পানি জমেছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে যানবাহন পড়লে উঠাতে কষ্ট হয়।

 

এছাড়া স্থানীয়রা সড়কের আশপাশে এবং সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে। বৃষ্টি হলে এসব ময়লা-আবর্জনা গিয়ে গর্তে পড়ে। এসব গর্তে যানবাহন পড়লে ঘটে দুর্ঘটনা।

জানা যায়, এই সড়কের পাশেই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ একাধিক আবাসিক ভবন রয়েছে। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। অনেক সময় গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে যায়।

আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু সড়কটির বেহাল দশা। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ময়লা-আবর্জনায় আমাদের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।

 

এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোহরাব হোসেন বলেন, সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে রিকশা চড়লে গর্তে পড়ে কোমর ভেঙে যায়। ময়লা-আবর্জনার কারণে হেঁটে চলা যায় না। এরপরও সড়কটি সংস্কার করা হয় না। এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না। এ বিষয়ে আপনারা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলুন।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও কল রিসিভ করেননি তিনি।

সাভার উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর সালেহ হাসান প্রামাণিক বলেন, এ সড়কটির টেন্ডার সিআরডিপি প্রজেক্টের আওতায় হয়ে গেছে। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে সড়কটির কাজ শুরু হবে।