• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সিঙ্গাইরে ১৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০১৯  

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এসব বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বেড়িয়ে গেছে রড। দুর্বল হয়ে পড়েছে বিম ও স্তম্ভ। খসে পড়ছে পলেস্তারা। দেবে গেছে মেঝে। অনেক ভবনের দরজা-জানালা নাই। বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। ভবনের ইট সুড়কি খসে পরে প্রায়ই আহত হন শিক্ষার্থীরা। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সব সময় আতঙ্ক কাজ করে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রয়েছে ৯৭টি। এর মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয়ের ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

স্কুলগুলো হলো-সিঙ্গাইর ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম গোবিন্দল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুদক্ষিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায় দক্ষিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেহান খিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ সারারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোলাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় অনেক স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুবরাতুল আইন জানান, আমার স্কুলের ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। দেবে গেছে মেঝে। বৃষ্টিতে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। পলেস্তারা (আস্তর) খসে নষ্ট হচ্ছে আসবাব ও বইপত্র। মনে হয়, কখন যেন স্কুল ভবনটি  মাথার ওপর ধসে পড়ে সর্বনাশ হয়ে যায়। বিষয়টি লিখিত ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। এরপরও কোনো কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দা নার্গিস আক্তার জানান, উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্কুলের ভবনগুলো মেরামত অযোগ্য। পুরনো ভবনগুলো ভেঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি। তা না করা হলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া এসব স্কুলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।