কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের আমবাগিচা খালপাড় এলাকা থেকে মো. শুক্কুর মিয়া (৩২) নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত যুবকের পাশে পড়ে থাকা একটি পলিথিন ব্যাগ থেকে আলু-পেঁয়াজের মেমো উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় দিকে আমবাগিচা খালপার রাস্তার ওপর থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত শুক্কুর মিয়া ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার চর মধ্যেরচর এলাকার ওয়াজদ্দিনের ছেলে।

সে পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। নিহতের মামাত ভাই মুন্না জানান, আমার ভাই শুক্কুর মিয়া প্রতিদিন রাজধানীর কাওরান বাজার ও শ্যামবাজার এলাকা থেকে কাঁচামাল পাইকারি ক্রয় করে নবাবগঞ্জ থানার বাড়িখালী বাজারে বিক্রি করতেন। ভাই মালামাল ক্রয় করার জন্য রাতেই চলে আসতেন রাজধানীতে। সকালে মালামাল নিয়ে নবাবগঞ্জ বাড়িখালী বাজারে আসতেন।

প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতে আমার ভাই শুক্কুর মিয়া রাজধানীতে আসেন মালামাল ক্রয় করার জন্য। এখান থেকে ফেরার পথে কে বা কারা আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমিসহ আমাদের আরো স্বজনরা রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে এসে আমার ভাই শুক্কুরের লাশ শনাক্ত করি। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই মো. জাকির হোসেন জানান, ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেই।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে মোট ১৪টি ধারাল ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা মর্গে গিয়ে মো. শুক্কুরের লাশ বলে শনাক্ত করেন বলেও তিনি জানান। এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।