• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কে অপছন্দ করলো তাতে কিছু যায় না, খাল দখলমুক্ত করবো: মেয়র আতিক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২৩  

জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। ‘ঢাকা শহরে বৃষ্টির পানি ব্যবস্থাপনায় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন’ শিরোনামে এ সেমিনার হয়। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা ওয়াসা থেকে খালগুলো বুঝে পাওয়ার পর দখলমুক্ত করছি। লাউতলা খাল অবৈধ দখল করে ট্রাকস্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছিল। এটি উচ্ছেদ করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করেছি। এখন সেখানে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। খালে পানির প্রবাহ ফিরে এসেছে।

মেয়র আরও বলেন, অনেকে বলেন, খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করলে আপনাকে দখলদাররা অপছন্দ করবে। আমাকে কেউ পছন্দ করলো কি না সেটা কোনো বিষয় না। আমি জনগণের স্বার্থে, শহরকে বাঁচাতে উচ্ছেদ অভিযান করে খাল দখলমুক্ত করে যাবো। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডের প্রায় ৫০ একর জমি দীর্ঘদিন দখল ছিল। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩২ একর জমি উদ্ধার করেছি। সেখানে কল্যাণপুর হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে।

এসময় তিনি বলেন, দুঃখজনক হলো, সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) গাবতলীতে জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। আমি বাধা দিয়েছি। চিঠি দিয়েছে আপনার জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন না। অথচ তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে জলাধার বালু দিয়ে ভরাট শুরু করেছে। গাবতলীর এই জলাধার ভরাট করলে মোহাম্মদপুর, শ্যামলীসহ মিরপুরের একটু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।

ঢাকাকে বাঁচাতে হলে শহরের নদী ও খালের সীমানা সিএস দেখে নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করতে হবে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একসময় যে প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো, সেগুলো চিহ্নিত করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ডেভেলপ করে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে অল্প সময়ের ভারী বৃষ্টিতে ডিএনসিসি এলাকার মেইন সড়কে কিন্তু দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের খাল ও জলাধারগুলো যদি সিএস এবং আরএস দাগ অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে।