• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পুলিশ অ্যালার্ট থাকলে রিফাতকে মরতে হতো না: হাইকোর্ট

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯  

পুলিশ ‘অ্যালার্ট’থাকলে রিফাতকে মরতে হতো না। পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল? পুলিশের উচিত মিন্নির প্রতি উৎসাহী না হয়ে অন্যান্য আসামির দিকে নজর দেয়া।

বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অধীনে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

পরে মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে থাকায় রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির নাম তদন্তে পাওয়া গেলে সাক্ষী হতে বাধা কোথায়। আমরা তদন্তের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে বলা হয়, এখন তদন্ত চলছে। এ পর্যায়ে আদালত হস্তক্ষেপ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে।

শুনানিতে বলা হয় মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা (ক্রস ফায়ার) করা হয়েছে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন দাবি করে ইউনুছ আলী আকন্দ আদেশ চাইলে আদালত বলেন, পুলিশকে গুলি করলে তারা পাল্টা গুলি করতেই পারে।

গত ২৫ জুলাই সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

রিটে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অবৈধ এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়। বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, বরিশালের ডিআইজি, বরগুনার পুলিশ সুপারসহ সাতজনকে।