• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

এসব গোপন বাড়ির সন্ধান কি জানেন?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০১৯  

ছোটবেলায় শিশুরা এমন নানা ধরণের খেলা আবিষ্কার করে যেগুলো কিনা এই বড়বেলায় এসে ভাবতেই ভীষণ অদ্ভুত লাগে। প্রত্যেকেরই এমন কিছু না কিছু গল্প আছে যেগুলো নিয়ে গল্প শুরু হলে আর শেষ হতে চায় না। এমন একটা খেলার কথা আপনাদের কি কারো মনে পড়ে? যেখানে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতাম এবং এই ভেবে মজা পেতাম যে কেউ আমাদের খুঁজে পাচ্ছে না। 

তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে এই অসম্ভব মজার খেলাটা যদি আপনি এই বড় বেলায় এসেও খেলতে চান তাহলে বিষয়টা কেমন দাঁড়াবে? আপনি না ভাবলেও পৃথিবীতে এমন কয়েকজন মানুষ আছে যারা ঠিক একইভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে আছে। আপনি এর পাশ দিয়ে গেলেও টের পাবেন না যে, এখানে কেউ আছে। চলুন জেনে নেই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত এমন পাঁচটি বাড়ি সম্পর্কে যেগুলো দেখলে আপনি চমকে উঠতে পারতেন!

১। গ্রিসের ঝুলন্ত বাড়ি
চিন্তা করে দেখুন একবার উঁচু পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ঝুলন্ত অবস্থায় একটি বাড়িতে থাকছেন আপনি! জানালা দিয়ে নিচে তাকালেই দেখতে পাবেন সমুদ্রের উপরে রীতিমত ঝুলে আছেন আপনি! শুনতে খুব বেশি অদ্ভুত শুনালেও ঠিক এমনই একটি বাড়ি আছে গ্রীসের পাহাড়ি পাদদেশে। বাড়িটি এমনভাবে তৈরি যে লক্ষ না করলে টেরও পাওয়া যাবে না সেখানে ভূমির সাথে মেলানো একটি আশ্চর্য বাড়ি রয়েছে।  

 

ঝুলন্ত বাড়ি

ঝুলন্ত বাড়ি

এর নিচের দিকের সিড়িটি দিয়ে নামলেই দেখা যাবে সুন্দর একটি সুইমিংপুল। তার নিচের দিকে রয়েছে একটি বিশাল বেডরুম। এই রুমের বিশাল জানালা দিয়ে সমুদ্রের চমৎকার সৌন্দর্য দেখা যাবে। সঙ্গে রয়েছে একটি সুন্দর বারান্দা যেখানে একান্ত সময় কাটানো যাবে। কিন্তু ঝামেলা হলো এটি সম্পূর্ণ একটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যে কারণে আপনি যেতে চাইলেও নিতে হবে বাড়ির মালিকের সম্মতি।

২। গ্রাউন্ড হাউজ
মাটির নিচে বাড়ি লুকিয়ে রাখার আইডিয়াটা বেশ চমৎকার। আর ঠিক তেমনি একটি বাড়ি হলো এই গ্রাউন্ড হাউজ। বাড়িটি এতটা দারুণভাবে বানানো যে, বাড়িটির ছাদ হলো মাটির উপরের অংশ। যেখান থেকে পাহাড়ের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। দূর থেকে বাড়িটির ছাদের খোলা অংশ দেখলে মনে হয়, কোনো এক স্যাটেলাইট অথবা কোনো মিলিটারির গোপন প্রজেক্ট। অথচ ভ্রমের মতো মনে হবে এই মাটিতে স্যাটেলাইট আসবে কোথা থেকে? 

 

গ্রাউন্ড হাউজ

গ্রাউন্ড হাউজ

তবে রাতের অন্ধকারে যখন বাড়িটির ভেতরে আলো দেখা যায় তখনই টের পাওয়া যায় কী অপরূপ সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে মাটির তলদেশে। গ্রীসে এমন কিছু বাড়ি নির্মাণ করা আছে পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো মারজিয়া হাউজ। কিছু মোটা পরিমাণ টাকার বিনিময়ে আপনি পেতে পারেন এই অসাধারণ অনুভূতি।

৩। নরওয়ের মাউন্টেন কেবিন
স্থপতিরা সত্যি কত অভিনব কায়দায় ঘর বাড়ি তৈরী করতে পারেন তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ নরওয়ের এই মাউন্টেন কেবিনটি দেখলে। এটি এমন একটি বাড়ি যেটি কিনা সব প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরী। এর ছাদের উপর জায়গার হেলানো অংশটি তৈরি হয়েছে ঘাস দিয়ে। সম্পূর্ণ বাড়িটি কাঠ এবং পাথরের তৈরী। 

 

নরওয়ের মাউন্টেন কেবিন

নরওয়ের মাউন্টেন কেবিন

এর ভেতরের বড় প্রশস্ত কাচের জানালা দিয়ে দেখা যায় দূরের নদী ও পাহাড়ের এক দারুণ প্রাকৃতিক মিলমেশ। কেবিনটি এত সুন্দরভাবে প্রকৃতির সঙ্গে মিলে যায় যে, চারিদিকের পাহাড়ের মাঝে একে আলাদা করা বেশ কঠিন। সবুজ পাহাড় আর পাথরের সঙ্গে মিল রেখে তৈরী এই গোপন বাড়িতে যেতে চাইলে কখনো ট্যুরিস্ট গাইড নিতে ভুলবেন না যেন!

৪। মাটির নিচে আস্ত টাউন
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর দক্ষিণ বরাবর অবস্থিত ৮৪৬ কিলোমিটার বিস্তৃত কুবার পেডি নামক একটি আস্ত শহর লুকিয়ে আছে মাটির তলদেশে। এই শহরটির সবচেয়ে অদ্ভুত তথ্য হলো, এই ৮৪৬ কিলোমিটারের সম্পূর্ণ শহরটিই মাটির নিচে অবস্থিত। এতে বাস করে প্রায় তিন হাজারেরও বেশী মানুষ। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় ১৯১৫ সালের দিকে এক পিতা ও পুত্র কপার স্টোন খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করে এই মাটির নিচের পথ। তারা অবাক হয়ে খেয়াল করলো যে বাইরের প্রচণ্ড তাপমাত্রা থাকলেও এর মাটির নীচটা অদ্ভুত রকম ঠাণ্ডা। 

 

কুবার পেডি

কুবার পেডি

এরপরের কাহিনী বেশ ঝলমলে। কারণ এই মাটির নীচেই আছে এখন হোটেল, রেস্তোরা, বার, আছে সুইমিংপুল, যাতায়াতের জন্য গুহা আকৃতির সুন্দর রাস্তা। তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন, শহরটিতে যাওয়ার পথ যথেষ্ট সহজ তবে ভুল করবেন। কারণ এর যাওয়ার ক্ষুদ্র পথ দেখে বুঝার উপায়ই নেই এর নীচে কী লুকিয়ে আছে!

 

আমাজন হাউজেস

আমাজন হাউজেস

৫। আমাজন হাউজেস
আমাজন জঙ্গলের কথা কে না জানে! অথচ এর মাঝেও যে লুকিয়ে আছে কিছু অজানা গোপন বাড়ি সেটি জানেন কি? বনের গহীনের আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে কয়েকটি অদ্ভুত বাড়ি। হেলিকপ্টার দিয়ে বন ঘেষে গেলেও এই জায়গাগুলো কারো চোখেই পড়ে না।