সবচেয়ে খাটো মানবজাতি!
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
নানা জাতি বর্ণ ও সংস্কৃতির মিশ্রণে গড়ে উঠা আফ্রিকা মহাদেশের এক বিশেষ মানব সম্প্রদায় পিগমি। শিকারের অভাব, বন নিধন এবং যুদ্ধভিত্তিক সহিংসতায় এখন পিগমি সম্প্রদায় অনেকটাই বিলুপ্ত।
তবে এখনও প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে কঙ্গোর গভীর বনাঞ্চলে কিছু পিগমি সম্প্রদায় বসবাস করে। সভ্য সমাজের কাছে পিগমিরা সাধারণত নিম্ন স্তরের মানুষ কিংবা বনমানুষ নামে পরিচিত। জঙ্গলে বসবাস করা পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো সম্প্রদায় পিগমিদের সম্পর্কে আজ চলুন জেনে আসি-
পিগমি শিশুরা
পিগমি শব্দটি এসেছে গ্রীক থেকে যার অর্থ কনুই পর্যন্ত। ক্ষুদ্র যেকোনো বস্তু বোঝাতে পিগমি শব্দটি ব্যবহৃত হয়। গড়ে সাড়ে চার ফুট উচ্চতার এই পিগমি গোত্র নিজেও জানে না যে বাইরের দুনিয়ার মানুষ তাদের এই নামে ডাকে। এমনকি তারা নিজেরাও পিগমি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়। তারা নিজেদেরকে ‘বা’ নামে সম্বোধন করে। তাদের ভাষায় এর অর্থ মানুষ। কঙ্গো, ক্যামেরুন এবং গ্যাবনের জঙ্গলে পিগমিদের বেশ কয়েকটি উপজাতি বাস করে। এছাড়া ফিলিপাইন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনিতে কিছু পিগমীর বসবাস রয়েছে।
বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে জীবিত পিগমি মানবের সংখ্যা এক লাখেরও কম। তাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মুগুতি প্রজাতির পিগমি শুধুমাত্র কঙ্গোর জঙ্গলেই বাস করে। পিগমিরা সাধারণত হিংস্র নয়। যুদ্ধ শব্দটি তাদের অভিধানেই নেই। এমনকি তারা নিজেদের মধ্যে কখনো ঝগড়া বিবাদেও লিপ্ত হয় না। প্রার্থনা, আনন্দ-বেদনা ও দুঃখ এসব কিছুর প্রকাশ তারা বিভিন্ন নাচের মাধ্যমে করে। জীবনে প্রত্যেকটি স্মরণীয় মুহুর্ত তারা ঢোল বাদ্য ও নাচের সঙ্গে বরণ করে নেয়।
পিগমি উপজাতিরা
পিগমিরা যাযাবর জাতি, তারা বনভূমিতে দলবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। স্বল্প সময়ের জন্য অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে তারা। পিগমিরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বুনো ফল এবং মধু সংগ্রহ করে জীবন ধারণ করে। এছাড়া চতুষ্পদ যেকোনো প্রাণী তারা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। প্রতিটি পিগমি দলের দলপতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।
তাদের জীবিকার অন্যতম এবং প্রধান উপায় হলো শিকার। প্রতিটি শিকারের আগে দলপ্রধান বিভিন্ন ধরনের মন্ত্র পড়ে দেবতাদের সন্তুষ্টি এবং অমঙ্গল থেকে মুক্তির আশায় প্রার্থনা করেন। পিগমি নারী পুরুষ উভয়েই বন্যপশু শিকারে অত্যন্ত দক্ষ। তারা অনেকদূর থেকে শিকারের গন্ধ পায় এবং পায়ের চিহ্ন দেখে শিকারের আকার ও বয়স ধরে ফেলতে পারে।
এই উপজাতিরা সবাই খাটো
বৈচিত্র্যময় গান ও নাচ পিগমি সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রায় প্রতিটি উৎসব এবং শিকারের আগে এবং পরে তারা গান ও নৃত্য করে। নানাবিধ ঢোলের বিচিত্র তাল এবং বিচিত্র সুরের সঙ্গীতে আয়োজিত এই নাচে শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই অংশগ্রহণ করে। পিগমিরা অতিমাত্রায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন। প্রতিটি দলে একজন ওঝার নেতৃত্বে পিগমিরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে। পিগমীরা এমন সব কাজ এড়িয়ে চলে যেসকল কাজে দেবতাদের অসন্তুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নৃতাত্ত্বিক গবেষকদের মতে, মানবসভ্যতার প্রথমদিকের জীবন্ত নিদর্শন এই পিগমি সম্প্রদায়। সভ্য সমাজের আলো না দেখা এই সম্প্রদায়ের চলাফেরা এবং আচার অনুষ্ঠান যেন লাখো শতাব্দী আগের মানুষদের আচরণকেই প্রতিফলিত করে৷ দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থেকে এই সমাজ আজ বিলুপ্তির পথে। পৃথিবীজুড়ে শান্তির বাণী প্রচার করা কয়েকটি দেশই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তাদের বিলুপ্তির কারণ।
শিকার করা তাদের প্রধান পেশা
ইতালি, জাপান এবং পর্তুগিজ বিভিন্ন কাঠভিত্তিক কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত কাঠ কেটে আফ্রিকার বনজ পরিবেশ ধ্বংস করছে। এতে প্রত্যক্ষভাবে ধ্বংস হচ্ছে পিগমিদের বসবাসপযোগী বনভূমি। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ক্রমশ কমে যাচ্ছে তাদের বিচরণক্ষেত্র, কমে যাচ্ছে শিকার এবং বাসস্থান সংকট।
কয়েকটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কঙ্গোর সৈন্যরা জঙ্গলে পিগমিদের শিকার করে তাদের মাংস ভক্ষণ করে। আর দশটি প্রাণির মতো পিগমীরাও মাথা নত করেছে এই মানব আগ্রাসনের কাছে। বাসস্থান ধ্বংস এবং পিগমি নারী এবং শিশুদের প্রতি এসব অত্যাচার যেন মানবাধিকার অনুমোদিত। তাই তাদের জন্য নেই কোনো আইন বা বিচার পাবার অধিকার।
- হিমাগারে মিলল ২১ লাখ ডিম
- মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
- শিকলে বেঁধে নির্যাতন, আসামি গ্রেপ্তার
- ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের টাকা না দেয়ায় মানববন্ধন
- এক স্কুলের সবাই ফেল!
- মানিকগঞ্মিজ: মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়
- বিমানবন্দরের সামনে প্রাইভেট কারে আগুন
- নতুন স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
- নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার
- শিক্ষিকার অপসারণ চেয়ে ক্লাস বর্জন
- কানের রেড কার্পেটে ভাবনা ‘কাক পোশাকে’
- কেরানীগঞ্জে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা
- স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ
- ইমারত আইন না মেনেই নির্মিত হচ্ছে ভবন
- খালে ময়লা ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- জিপিএস ট্র্যাকার বাণিজ্য, গ্রেপ্তার ৩
- রায় স্থগিত:‘মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয়’
- নো হেলমেট নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ
- আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’
- নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার
- বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ
- গলায় লিচুর বিচি আটকে মৃত্যু
- বনানীর আগে বাস থামিয়ে যাত্রী তুললেই মামলা
- বাংলাদেশি ফুচকার প্রশংসা করলেন ডোনাল্ড লু
- সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী এলিস মুনরো আর নেই
- গ্রহণযোগ্য করতেই শ্রম আইনে সংশোধন
- ফিলিস্তিনে শিগগিরই খাদ্য সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ
- মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত
- ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেএনএফ পার পাবে না: বিজিবি মহাপরিচালক
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- তীব্র গরমে স্কুলের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- সাভারে ফের উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব
- আমাদের সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে বৃষ্টি না হলে
- সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- হেলে পড়ার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- অস্ত্রসহ মাদক কারবারি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযান
- কাজ না করেই সমাপ্তির সাইনবোর্ড
- সাভার ও গাজীপুরে দুটি ওয়াইজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত
- ১৩ কিমি ধাওয়া করে মোটরসাইকেল উদ্ধার
- হজযাত্রীদের সেবায় আশকোনায় কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি
- সেনাপ্রধান: সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে
- লবণবাহী ১৬ ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৭২