• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ইসিতে ১৪ দলের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট।

প্রতিনিয়ত তারা নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্য রাখছে; অথচ ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন একজন আইনজ্ঞ হয়েও এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বিএনপি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।

রাজধানীর আগারগঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাত করে এসব অভিযোগ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখা একটি চিঠি পৌছে দেন।

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবেই প্রতিদিন অসত্য ও মনগড়া অভিযোগ ইসিতে নিয়ে আসছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও জোটকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য কর্তব্য। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন একজন দন্ডিত ও পলাতক আসামি হওয়ার পরও তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী দন্ডপ্রাপ্ত কোন আসামি জাতীয় সংসদের সদস্য পদ প্রার্থীদের বাছাই করতে পারেন না। এ ধরনের কর্মকান্ড সংবিধানের প্রতি চরম অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তারেক রহমানের এ ধরনের বেআইনি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইসির প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

ইসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিনিধি দলটির প্রধান দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের চেষ্টা করছে। তারা একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে না পারে। বিএনপি মহাসচিব ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তারা তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। নির্বাচনের আগে ও পরে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন না হয় এবং নির্বাচনে তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। প্রশাসনের রদবদল সম্পর্কিত বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিএনপির কথামতো যেন এ ধরনের রদবদল করা না হয়, এ বিষয়ে আমরা কমিশনকে জানিয়েছি।

জোটের অপর নেতা জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘণ করছে। এ ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি।