• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হঠাৎ বাংলাদেশের ছন্নছাড়া ব্যাটিং!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮  

প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারলেই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের শেষ সময়ে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং পড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ৩৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে তারা। সে ধারাবাহিকতায় দিন শেষে পাঁচ উইকেট হারায় তারা।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ ৫৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তাই ১৩৩ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।  মুশফিকুর রহিম ১১  ও মেহেদী হাসান মিরাজ শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন।

এদিন আত্মহত্যার মিছিলে অংশ নেন ইমরুল কায়েস (২), সৌম্য সরকার (১১), মুমিনুল হক (১২), মোহাম্মদ মিঠুন (১৭) ও সাকিব আল হাসান (১)।

এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গড়ে ৩২৪ রান। জবাবে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্বাগতিকদের বোলিং তোপে পড়ে ২৪৬ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয়। তাই প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৭৮ রানের লিড পায়।

মূলত অভিষিক্ত স্পিনার নাঈম হাসানের বোলিং তোপেই বিধ্বস্ত হয় ক্যারিবীয় দলটির ব্যাটিং লাইন। তিনি একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েন। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান তিনটি এবং তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট পান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের হয়ে শিমরন হেটমায়ার (৬৩) ও শেন ডাওরিচ (৬৩) ছাড়া কেউই দৃঢ়তা দেখানে পারেননি। অন্যরা একরকম আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন।

এর আগে আর মুমিনুল হকের চমৎকার সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের পথ দেখায়। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি। ম্যাচের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকার (০)। বেশ কিছুদিন পর ফিরে দলের শুরুটা ভালো এনে দিতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। আরেক ওপেনার ইমরুল ফেরেন ৪৪ রান করে। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও (২০)।

পরে মুমিনুল ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়ে ছিলেন।খেলেন ১২০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। এই সেঞ্চুরি করে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন তামিম ইকবালকে। দুজনের এখন আটটি করে টেস্ট শতক।

তবে একটি জায়গায় এগিয়ে মুমিনুল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ছয়টি সেঞ্চুরি করেন তিনি। যেখানে তামিমের একটি।

তবে মুমিনুল সাজঘরে ফেরার পরই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। এরপর পরই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম (৪) দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় দল।তাঁর পথ ধরে দ্রুত ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও (৩)।

তখনো ভরসা ছিল সাকিব পিচে আছেন। কিন্তু তিনিও ৬৮বলে ৩৪ রানের একটি ইনিংস খেলে আউট হলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দল।

তবে নবম উইকেটে তাইজুল ইসলামও অভিষিক্ত নাঈম হাসান দারুণ দুটি ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ইনিংসেও ভালো কিছু করা সম্ভব। তাইজুল ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেও নাঈম ২৬ রান করে আউট হন।