• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ইলিশের দামে বৈশাখী উত্তাপ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯  

আর একদিন বাদেই বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। অধিক মুনাফা আর বাজার ধরতে ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ইলিশ রেখে দেন। সময় জাটকা ধরা ঠেকাতে নদীতে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ফলে দাম বেড়ে যায়।

মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর, তরা মাছের আড়ত, জাফরগঞ্জ মৎ মোকাম, শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাটে ইলিশের দামে যেন লেগেছে বৈশাখের ঝড়ো হাওয়া।

শুক্রবার ভোরে এসব মাছের আড়তগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পদ্মার ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে ইলিশের দাম ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সাত দিনের ব্যবধানে ইলিশের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে আটশ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।

বড় আকৃতির এক কেজি ওজনের ইলিশ তিন হাজার টাকা, আধা কেজি ওজনের ইলিশ বারোশ থেকে পনেরোশ টাকা এবং এর চেয়ে ছোট আকৃতির ইলিশ প্রতি কেজি সাতশ থেকে আটশ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

তরা আড়তে ইলিশ কিনতে আসা সোহেল হোসেন বলেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে পদ্মার ইলিশ কেনার জন্য মাছের আড়তে এসেছি। কিন্তু ইলিশের দাম এত বেশি হবে ভাবতে পারিনি।

সাভারের আশুলিয়া থেকে জেলার বৃহৎ আরিচা মাছের আড়তে আসা মহসীন মিয়া জানান, ইলিশের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। দুই সপ্তাহ আগে যে ইলিশ সাতশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সে ইলিশ এখন পনেরোশ টাকা।

মাছ বিক্রেতা পরীক্ষিত হালদার জানান, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম আর চাহিদাও অনেক। তাই বাড়তি দামে ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে পয়লা বৈশাখের পর ইলিশের দাম আবার স্বাভাবিক হবে।

ইলিশ মোকামের একাধিক আড়তদাররা বলছেন, বাজারে হিমাগারে রাখা প্রচুর ইলিশ সরবারহ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা। পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ছয় মাস আগে থেকে ইলিশ কিনে হিমাগারে মজুত করেছেন পাইকাররা।