• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বৃষ্টি হলেই মির্জাপুরে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে মানুষ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯  

একটু বৃষ্টি হলেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। দীর্ঘ দিন ধরে পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তায় জলাবদ্ধতা হয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কাজ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে বলেছেন, অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে পৌর সভার রাস্তা-ঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। শুক্রবার পৌরসভার বেশ কয়েকটি রোডে গিয়ে দেখা গেছে চলাচলের পৌরবাসির ভোগান্তির চিত্র।

জানা গেছে, ২০০০ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে মির্জাপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভার বয়স ১৯ বছর হলেও বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। সেই সঙ্গে পৌরসভা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত বলে অভিযোগ উঠেছে।

সমস্যার মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে আজ পর্যন্ত রাস্তার পাশে ভাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর পানি জমে চলাচলে সমস্যা হয়ে পরে।

পৌরসভার কলেজ রোড, থানা রোড, বাওয়ার রোড, ইউনিয়নপাড়া রোড, বংশাই রোড, কালিবাড়ি রোড, মসজিদ রোড, কুমুদিনী হাসপাতাল রোডসহ প্রতিটি রাস্তার বেহাল করুন অবস্থা। রাস্তার উপর পানি জমে সেই পানি দোকান-পাটে ঢুকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।

একই অবস্থা পৌরসভার পুষ্টকামুরী, বাইমহাটি, বাওয়ার কুমারজানি, প্রফেসরপাড়া, পালপাড়া, আন্ধরা, সরিষাদাইর, সাহাপাড়া কুতুব বাজার রাস্তা-ঘাটের বলে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

পৌরসভার মো. সাহাদত হোসেন সুমন বলেন, মাস্টার প্লানের মাধ্যমে মির্জাপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পয়নিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সুষম উন্নয়নের জন্য মেগা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। চলছে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, এডিবি, জাইকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষ দ্রুত উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হবে।