• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

টাঙ্গাইল রেলস্টেশনে টিকেট মেলে চা স্টলে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯  

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট পাওয়া না গেলেও অতিরিক্ত টাকার স্টেশনের দোকানে সিটসহ টিকেট মিলে। কালোবাজির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে টিকেট পেলেও সাধারণ যাত্রীরা পায় না। 

এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই অবৈধ কালোবাজারির সাথে জড়িত সহকারী স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে স্টেশনের কুলি। শুধু সহকারী স্টেশন মাস্টার ও কুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, স্টেশনের পাশের চায়ের দোকানে ট্রেনের টিকেট মিলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইল স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার, বুকিং সহকারী, বুকি মাস্টার, টি ম্যান, পোর্টার, টিকেট মাস্টার ও কুলিরাও টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত রয়েছে। এর আগে সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল, টিকেট মাস্টার মো. আশরাফসহ তিনজন কালোবাজির মাধ্যমে টিকেট বিক্রির সময় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হয়। 

শুধু সোহেল নয়, টাঙ্গাইল স্টেশনের বুকিং সহকারী মো. হান্নান সরকার, টিকেট মাস্টার মো. আরিফ, মো. আশরাফুল, টি ম্যান মো. তারেক, মো. ফজলুল হক ও পোর্টার মো. বাদশা টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনের মাস্টার আ. মান্নান, বুকিং সহকারী মো. রেজাউল, মো. শরিফুল ইসলাম, টিকেট মাস্টার মো. রিপন ও মির্জাপুর স্টেশন মাস্টার মো. কামরুল, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. বকুল আহমেদও এই টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

সরেজমিনের টাঙ্গাইল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বুকিং অফিসের সামনে ট্রেন যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। বুকিং অফিসের দরজায় লেখা ‘কাউন্টারের ভিতরে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’। তবে স্টেশনের কুলি প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত  টাকার বিনিময়ে বুকিং মাস্টারদের সহযোগিতায় প্রবেশ করছে ও বের হচ্ছে।

হযরত আলী নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সিটসহ টিকেট পাইনি। আসন সংখ্যার চেয়ে যাত্রী বেশি হলেও এই স্টেশনের যাদের লোক আছে বা যারা প্রভাবশালী তারাই একমাত্র সিটসহ টিকেট পায়। 

প্রতিমা রাণী নামে অপর এক যাত্রী বলেন, আমি মাঝে মাঝেই ঢাকায় যাতায়াত করি। এই স্টেশনের কুলি মো. মাসুদ মিয়া আমাকে টিকেট ব্যবস্থা করে দেয়। 

এ বিষয়ে স্টেশনের টি ম্যান ফজলুল হক বলেন, আপনার যে কোন সময় যেকোন ট্রেনের টিকেট লাগলে আমাকে জানাইয়েন আমি সিটসহ টিকেটের ব্যবস্থা করে দিবো। তবে টিকেটের দামের চেয়ে কিছু টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। 
    
স্টেশনের পাশের দোকানদার মো . আজহার আলী বলেন, এখন আর আগের মতো টিকেটের ব্যবস্থা করি না। পরিচিত ছাড়া কাউকে টিকেটও দেই না। প্রশাসনের লোক থাকে। তারা আমাকে নজরদাড়ির মধ্যে রাখছে। আপনি মোবাইল নাম্বার নিয়ে যান। টিকেট লাগার কিছুক্ষণ আগে জানাইয়েন ব্যবস্থা করে দেবো।