• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

লাশে পচন ধরে, কবর দেয়ারও জায়গা হয় না

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

পরিবারের কেউ মারা গেলে কবর দেয়ার জায়গাও খুঁজে পায় না সাভারের বেদে পল্লীর বাসিন্দারা। হঠাৎ করে কেউ মারা গেলে তার লাশ দাফন করতে দু’দিন পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হয় স্বজনদের। বেদে পল্লীতে নিজেদের আলাদা কোনো কবরস্থান না থাকায় পাশের কিংবা অন্য কোনো গ্রামে নিয়ে লাশ দাফন করতে হয় তাদের। কবরের জায়গা খুঁজতে গিয়ে অনেক সময়ে লাশে পচনও ধরে। অবশ্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে বেদে পল্লীর পাশেই বংশী নদীর তীরে সরকারি জমিতে বালু ভরাট করেই বেদে সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক একটি গোরস্থান করা সম্ভব হবে মনে করে স্থানীয়রা।

বাপ-দাদার আদিম পেশা হিসেবে সাপ ধরা, সাপের খেলা দেখানো ও ঝাড়- ফুঁকের সাথে জড়িত এখানকার কয়েক হাজার পরিবার। সারা বছরই এসব পরিবারের পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে পরিবারের ভরণপোষণ করে। অনেক পরিবারের সন্তানরা এখানে থেকেই স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করে। তবে বয়োবৃদ্ধ সদস্যরা বাড়ির বাইরে যায় না। তারা গ্রামের বাজার ও দোকানে বসেই সময় কাটায়। 

 সাভারের বেদে পল্লীতে সরেজমিন সেখানকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেলো, নিজস্ব কবরস্থান না থাকায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন নিয়ে কতোটা ভোগান্তির শিকার হতে হয় এখানকার লোকজনদের। অনেক সময় কবরস্থানের জায়গার অভাবে লাশ ঘরে রেখে অন্য গ্রামে গিয়ে কবরের জায়গা খুঁজতে হয়। গ্রামের বাইরের কোনো কবরস্থানে লাশ দাফন করতে গেলে অনেক সময় বাইরের ওই কবরস্থানের জন্য আর্থিক অনুদান দিয়ে তারপর লাশ দাফনের অনুমতি নিতে হয়। দরিদ্র পরিবারের কেউ মারা গেলে চাঁদা তুলে তারপর লাশ দাফনের বন্দোবস্ত করতে হয়।