• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

অধিক প্রলোভন ও এককালীন টাকা পাওয়ার কারণে দিন দিন তামাক চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানিকগঞ্জে। ১০-১২ বছর আগেও যেসব জমিতে ধান, পাটসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্য চাষ হতো এখন সেসব জমিতে তামাক চাষ করছে কৃষক। তামাক চাষ হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষি জমি ধ্বংস হচ্ছে, অপরদিকে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, এবার মানিকগঞ্জে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। এ হিসেবের বাইরেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পরিমাণে তামাক চাষ করছেন কৃষক।

সাটুরিয়া উপজেলার সোলাই গোবিন্দপুর গ্রামের তামাক চাষি আক্তার উদ্দিন বলেন, এ বছর আমি ১৩ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় আট থেকে নয় মণ তামাক উৎপাদন হয়। আমি আকিজ টোব্যাকো এবং ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির কাছে তামাক পাতা বিক্রি করি। আমি তাদের কাছ থেকে এককালীন তামাকের টাকাগুলো পাচ্ছি। অন্যান্য ফসল চাষ করে তো আমি এভাবে এককালীন টাকা পেতাম না।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, কোম্পানি তামাকের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য চাষিদের উৎসাহ দিতে অর্থ ও তামাক চাষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। তামাক চাষের কারণে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। তামাক চাষ দিন দিন বাড়তে থাকলে কৃষিজমি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। আমরা কৃষকদের বরাবরই নিরৎসাহিত করি। কিন্তু তারা নগদ টাকার লোভে তামাক চাষ করে থাকে।

সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, তামাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তামাক চাষের ফলে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তামাকের ঘ্রাণ ফুসফুসে গিয়ে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তামাকের ক্ষতিকারক নিকোটিন পদার্থ তামাক শুকানোর সময় মানুষের দেহের ও শরীরের ক্ষতি করে থাকে।

ঘরবাড়ি, রাস্তার পাশ ও বাগানে বিচ্ছিন্নভাবে রশিতে ঝুলিয়ে তামাক শুকানোর কারণে আশেপাশের অনেকেই এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। যেহেতু সরকারিভাবে তামাক চাষ বন্ধ না তাই আমরা কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।