• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

৩৫ বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি জাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত একমাত্র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাড়লেও পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি গ্রন্থাগারটি। ফলে গ্রন্থাগারের আসন সংকটে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৫ সালে গ্রন্থাগারের মূল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সময় বাজেটে গ্রন্থাগারের নির্মাণে আয়তন নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ বর্গফুট। কিন্তু ৫৫ হাজার বর্গফুটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। আর বাকি ৪৫ হাজার বর্গফুট নির্মাণকাজ এখনো সম্পন্ন করা হয়নি।

জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হলে থাকেন। তবে অধিকাংশ হলে রিডিং রুম না থাকায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ওপরই নির্ভর করতে হয় তাদের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গ্রন্থাগারে এসে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় ফিরে যান তারা। এ ছাড়া নামে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের হলের গণরুমে থাকতে হয়। ফলে গ্রন্থাগারে আসন সংকট ও হলে রিডিং রুম না থাকায় পরীক্ষায় ফল খারাপ হচ্ছে হলের গণরুমে অবস্থানরত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে গ্রন্থাগার ঘুরে দেখা যায়, তিনতলা ভবনের গ্রন্থাগারটিতে ৮৪টি ডেস্ক এবং টেবিলে ৩৬৩টিসহ সর্বমোট ৪৪৭টি আসন রয়েছে। তবে বর্তমানে এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ (স্নাতক সম্মান) থেকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তার প্রেক্ষিতে প্রতি ৩২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি আসন। এর বাইরেও চাকরি প্রত্যাশী অনেক সাবেক শিক্ষার্থী নিয়মিত গ্রন্থাগারটি ব্যবহার করছেন। প্রতিদিন ভোর ৬টা বাজতেই একটি আসন দখল করতে চলে আসেন তারা। ফলে গ্রন্থাগারে এসে বসার আসন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক হানিফ আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান মেগা প্রকল্পে একটি আধুনিক লাইব্রেরি তৈরি করার বাজেট আছে। সেটি করতে পারলে শিক্ষার্থীদের আসন সংকটসহ সকল প্রকার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমাদের গ্রন্থাগারে যথেষ্ট অসঙ্গতি আছে। চলমান মেগা প্রকল্পে গ্রন্থাগার পূর্ণাঙ্গ করার বাজেট আছে। আশা করি, শিক্ষার্থীদের দাবিটি খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারব।’