• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। কৃষকদের অভাবের সুযোগ নিচ্ছে দালাল চক্র। কৃষকদের বিক্রি করে দেয়া মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। উপজেলার নাগরপুর সদর, মামুদনগর, পাকুটিয়া, গয়হাটাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ও নদীর পাড় এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র।

এদিকে পুকুর খনন ও আবাদি জমির মাটি বিক্রির ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। একই সাথে মাটি কাটার ভেকু দিয়ে পুকুর খননের কারণে পুকুরের পার্শ্ববর্তী জমিগুলো হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা, সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন ফসল আবাদে প্রতিবন্ধকতা।


সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষি জমিতে পুকুর খনন ও জমির মাটি বিক্রির কারণে আবাদি জমি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। শস্য উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এসব জমিতে। কৃষকরা জানান, বিভিন্ন ইটভাটার দালালরা মাটি বিক্রি করার জন্য তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দিচ্ছে। অপরদিকে অভাব তাদের পিছু ছাড়ছে না ফলে তাদের কাছে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

আবার কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, এভাবে মাটি বিক্রি করা অবৈধ। কিন্তু কার কাছে নালিশ দেব, কে শুনবে আমাদের কথা, যারা মাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছে তারা ক্ষমতাসীন দলের লোক। নিরুপায় হয়ে কৃষকরা মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, জমির উর্বরতা শক্তি মাটির উপরিভাগ থেকে ৬-৮ ইঞ্চির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তাই ওপর থেকে মাটি সরিয়ে ফেলায় উর্বরতা শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সেই জমির ওপর বিভিন্ন পদার্থ জমে উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগবে। এভাবে আগের মতো উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে।

তিনি আরো বলেন, মাটি বিক্রি করে সাময়িক অভাব দূর হলেও ক্ষতি হয় অনেক বেশি। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, নিয়ম-নীতি না মেনে পুকুর খনন ও জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত অপরাধ। এ সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।