• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সাভারে তিতাসের অভিযানে ১ হাজার বাসাবাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর সাভার জোনাল বিপনন অফিস অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান পরিচালনা করেছে।

মঙ্গলবার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর ও দেওয়ান ইদ্রিস স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন এলাকা এবং আশুলিয়ার মাদবর বাড়ি এলাকায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে আনুমানিক ১ হাজার বাসাবাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

তিতাসের সাভার জোনাল বিপনন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোঃ সায়েম এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে আনুমানিক ২ কিলোমিটার ব্যাপী অবৈধ বিতরণ লাইন তুলে ফেলা সহ অবৈধ সংযোগ কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও রাইজারগুলিও খুলে জব্দ করা হয়।

অভিযান চলাকালে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর সাভার জোনাল বিপনন অফিস ) এর উপ-ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান, উপ-ব্যবস্থাপক ইদ্রিস আলী, সহ-ব্যবস্থাপক সাকিব বিন আব্দুল হান্নান, সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান নয়ন, সহ-কর্মকর্তা এহসানুল হক প্রমুখ সহ তিতাসের কারিগরি টিমের শ্রমিকগণ।

অভিযানের ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (জোবিঅ) এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোঃ সায়েম জানান, ‘আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া আমাদের নিয়মিত অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে সাভারের আশুলিয়ার মাদবর বাড়ি ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর ও দেওয়ান ইদ্রিস স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত করেছি।

এখানে অবৈধ সংযোগকারীরা আমাদের বৈধ বিতরণ লাইন থেকে ২ ইঞ্চি ও ১ ইঞ্চি লাইনের মাধ্যমে অনেক দীর্ঘ সংযোগ নিয়েছে। আমরা আজ এই সম্পূর্ণ অবৈধ লাইন উচ্ছেদের চেষ্টা করেছি। তাতে আনুমানিক ২ কিলোমিটার লাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার বাসাবাড়িতে নেয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

অবৈধ সংযোগ প্রদানকারীদের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, এদের ব্যাপারে আমরা যথাযথভাবে তথ্য নেবার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও এব্যাপারে আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে। এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গ্যাস আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের হবে বলেও জানান তিনি।

তিতাস কর্তৃপক্ষ আরও জানান, ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী তৈয়বপুর এলাকায় এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করেছেন। তিনি তার দুইজন সহযোগী সৌরভ ও শান্ত’র মাধ্যমে এসব অবৈধ সংযোগ থেকে প্রতিমাসে টাকা নিয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য, অভিযান চলাকালে ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোমাম্মদ আলীর বাড়ির ভিতর থেকেও অবৈধ পাইপলাইন তুলে ফেলা হয়।

তবে মুঠোফোনে এব্যাপারে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলীর নিকট অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং নিজেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির ভিতর থেকে অবৈধ গ্যাসের পাইপ তুলে ফেলা হয়েছে এটা তো আমি জানিই না। আর অবৈধ গ্যাস সংযোগ আমি কাউকে দেই নাই। আমি গাজীপুরে আছি, এসে বিষয়টা দেখবো।’