• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সাভারের ফিরিঙ্গিকান্দা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী, সংস্কারের দাবি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের ফিরিঙ্গিকান্দা সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলজিইডি’র আওতাধীন এ রাস্তাটিতে কার্পেটিং তো দূরের কথা, বেশিরভাগ অংশে ইটের সোলিংও করা হয়নি। ফলে ভাঙাচোরা এই মাটির রাস্তায় চলাচলে গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে চুনারচর, নন্দেরখামার, আলিপুর, সিরাজনগর, ফিরিঙ্গিকান্দার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ফিরিঙ্গিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও এ সড়কের পাশেই অবস্থিত। শিক্ষার্থীদের এই ভাঙা সড়ক দিয়েই স্কুলে যেতে হয়। এলাকার বাসিন্দারা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার বেশিরভাগ অংশে ইট না বিছানোর কারণে বিভিন্ন স্থানে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি চলাচলে প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি চললে কিংবা একটু জোরে বাতাস বইলেই ধুলোবালিতে গোটা এলাকা সয়লাব হয়ে যায়। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীদের নাকে মুখে কাপড় দিয়ে পথ চলতে হয়। রাস্তাটি এতটাই ভাঙাচোড়া যে এলাকার কোন অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে।

ভাঙা রাস্তার কারণে সমস্যায় আছেন এলাকার ব্যবসায়ীরাও। তারা এই অঞ্চলের উত্পাদিত সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। উল্লেখ্য, ফিরিঙ্গিকান্দাসহ আশপাশের এলাকা সবজি উত্পাদনের এক বিশাল ক্ষেত্র। এ অঞ্চলের সবজি সাভার, কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আখতার হোসেন বলেন, তার মতো আরো অনেকেই এ অঞ্চলে উত্পাদিত সবজি কিনে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। কিন্তু রাস্তা ভালো না থাকায় সময়মত সবজি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। মালামাল পরিবহনে খরচও হয় বেশি।

ফিরিঙ্গিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, স্কুলটির পাশ দিয়েই ফিরিঙ্গিকান্দা সড়কটি নির্মিত হয়েছে। ২০১৩ সালে বাহেরচর হতে নন্দেরখামার খেয়াঘাট পর্যন্ত এ সড়কটির নামকরণ করা হয়- ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী সড়ক’। কিন্তু মাটির রাস্তা হওয়ার পর এ সড়কে ইটের সোলিং কিংবা কার্পেটিং করা হয়নি। ফলে ধুলোবালুর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ রফিক বলেন, ধুলোবালিতে থাকা রোগ জীবাণু ক্রমাগত শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শিশুদের দেহে প্রবেশ করলে তাদের মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

এলাকার ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ভার্কুতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ সড়কটির টেন্ডার নতুনভাবে আহবান করে অচিরেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।