• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৭ ভবন ঝুকিপূর্ণ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯  

বরগুনার তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৭টি ভবন ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে ৩৫টি ভবন। অধিক ঝুকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের  ক্লাস না করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

৬ এপ্রিল উপজেলার ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিম ধ্বসে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা বেগম নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় আরো পাঁচজন। নিহত মানসুরা উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউপির গেন্ডামারা গ্রামের নজির হোসেন তালুকদারের মেয়ে। 

এ ঘটনায় এক সপ্তাহে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে দফায় দফায় তদন্ত হয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। নিহতের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ ও মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে আইনজীবী হুমায়ুন কবির হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এলজিইডিকে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।  

মন্ত্রীর এ নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসের এক তদন্তে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি ভবনই ঝুকিপূর্ণ’র তালিকায়। ৩৫টি ভবনে ক্লাস না করা সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। বাকী ৩২টি ভবন জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে তাও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে কমিটির ধারণা।