• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু, মালিক আটক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯  

যশোরের মণিরামপুরে মনোয়ারা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী আসাদুজ্জামান ১০জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হাইকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক আব্দুল হাই উপজেলার জামজামি গ্রামের আফসার আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি নিজে ডাক্তার না হলেও সার্জিকাল ডাক্তার সেজে বহুদিন ধরে রোগীর স্বজনদের ধোঁকা দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন অভয়নগরের নওয়াপাড়া এলাকার সুব্রত মহলদার, উপজেলার কাজির গ্রামের শরিফুল ইসলাম, সুবলকাঠি গ্রামের সাইফুল ইসলাম, জয়পুরের মোন্তাজ হোসেন, স্বরুপদহ গ্রামের তানিয়া সুলতানা হালিমা, হাসাডাঙ্গার নাসিমা খাতুন, সদর উপজেলার সিরাজসিংহ গ্রামের দীপা খাতুন, রামনগরের মঞ্জুয়ারা খাতুন এবং আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন।

মণিরামপুর বাজারের ঘর মালিক বোরহান উদ্দিন জাকির বলেন, দুই-তিন বছর আগে আব্দুল হাই তার ঘর ভাড়া নিয়ে প্রথমে মনোয়ারা ক্লিনিক খোলেন। তখন হাকোবা গ্রামের এক রোগীর মৃত্যু হলে স্বজনরা ক্লিনিক ভাঙতে আসেন। পরে তিনি খবর নিয়ে জানতে পারেন, বিভিন্ন সময়ে ক্লিনিকে পাঁচ-সাত জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এসব জেনে বোরহান উদ্দিন ক্লিনিক উঠিয়ে দেন। পরে মণিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় গেটে ঘর ভাড়া নিয়ে ক্লিনিক চালু করেন আব্দুল হাই। গত বছর ওই ক্লিনিকে উপজেলার কামালপুর গ্রামের সোনিয়া নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। তখন মালিক আব্দুল হাই নবজাতকের দায়িত্ব নেবেন বলে রোগীর স্বজনদের হাত-পা জড়িয়ে ধরে রক্ষা পান। কিন্তু পরে আর তিনি সেই নবজাতকের খবর নেননি বলে অভিযোগ।

মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (সার্বিক) সহিদুল ইসলাম বলেন, আসাদুজ্জামানের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হাইকে আটক করা হয়েছে। পরে অভিযোগটি হত্যা মামলায় রুপ নেয়। রোববার সকালে ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, সম্প্রতি মনোয়ারা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভূয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করানোর বিষয়ে ইউএনওর দপ্তরে একটি অভিযোগ পড়ে। আবার ক্লিনিকে রোগীর মৃত্যু নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন। এসব অভিযোগে শনিবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত হয়। তদন্তে তিনি জানতে পারেন মালিক আব্দুল হাই নিজে ডাক্তার না হয়ে রোগীর অপারেশন করান। তাছাড়া সুব্রত নামে এক ইউনানী চিকিৎসককে এমবিবিএস সাজিয়ে ক্লিনিকে অপারেশন কাজ চালানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববারে (১৫ এপ্রিল) ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।