• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চলমান অভিযান দুর্নীতি ও অপরাধীর বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান অভিযান কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের বিরুদ্ধে নয়। এটি অপরাধী এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান। 

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তায়নের একটি চক্র রয়েছে। এ চক্রটি ভেঙে দিতে হবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন। আপন ঘর থেকেই তিনি এ শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।

শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার খাড়াজোড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফোর লেন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

চলমান অভিযানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধী ঢাকা বা গাজীপুর হোক অথবা দেশের যেকোনো জায়গায় হোক বাংলাদেশের যেখানে দুর্বৃত্তায়ন, চাঁদাবাজি, লুটপাট হবে সেখানেই এ অভিযান চলবে। 

প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার আগে বলে গিয়েছেন এ অভিযান শিথিল হবে না- যোগ করেন তিনি। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া যদি জামিন পান এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে এবং সেই পর্যায়ে তার অবস্থার অবনতি ঘটে সেটা পরবর্তীতে বিবেচনা করা যাবে। তবে বিএনপির দাবির সঙ্গে চিকিৎসকদের মতামতের কোনো সঙ্গতি নেই।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপির এমপিরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার মাধ্যমে তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি বিবেচনার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কোনো রেসপন্স আসেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে একটি  মেডিকেল বোর্ড রয়েছে। অসুস্থতার বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য এবং মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সঙ্গে কোনো মিল নেই। আমার মনে হয়- এখানে যেমন মানবিক বিষয়টি দেখতে হবে একইভাবে এখানে একটি আইনগত বিষয় রয়েছে। আইনগত বিষয়টি সরকারের হাতে নেই। এটা আমি বারবার বলেছি। বারবার বলার চেষ্টা করেছি। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধ-অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সবাই করতে পারে। র‌্যাব একটি এলিট ফোর্স। র‌্যাবকে কৌশলগত কারণে এ অভিযানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। র‌্যাব অভিযান করলে সেটা কার্যকর হবে। সেজন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। কাউকে ছোট করা হচ্ছে না। র‌্যাবও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তাদেরও দায়িত্ব আছে। যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা সে দায়িত্ব পালন করবে। কাজ ভাগ করা আছে। র‌্যাব র‌্যাবের দায়িত্ব এবং পুলিশ পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে।

পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এবং সড়ক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।