• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ধর্ষণের পর পানিপড়া দেয়া সেই মাদরাসা সুপার গ্রেফতার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯  

বাগেরহাটের শরণখোলায় ধর্ষণের পর পানিপড়া দেয়া সেই মাদরাসা সুপার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাশিদিয় ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আ. গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।

পিবিআইয়ের বাগেরহাট জেলার প্রধান অ্যাডিশনাল এসপি মো. মোজাম্মেল হক জানান, মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলাটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিবিআই এ হস্তান্তর করা হয়। মাদরাসা সুপার রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতারের জন্য এর আগে গাজীপুর এবং পিরোজপুরেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটাখালী এলাকা থেকে সে বাসে করে পালানোর সময় গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতার মাদরাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

গত ৮ আগস্ট বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউপির উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (স্বতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদরাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

লম্পট মাদরাসা সুপার ওইদিন বিকেলে মেয়েটির বাড়িতে যান। সেখানে গেলে মা-বাবা ও পারিবারের লোকজন মেয়ের অসুস্থতার কথা সুপারকে জানালে তিনি বলেন, হয়তো মাদরাসা থেকে আসার পথে খারাপ বাতাস লেগেছে। তাই রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

পরে ওই লম্পট মেয়েটিকে তাবিজ ও পানিপড়া দেন। এতে সে সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেও সুস্থ না হলে ঘটনার দুই দিন পর মেয়েটি ধর্ষণের কথা বলেন। মা-বাবা মান সম্মানের ভয়ে গোপনে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে সে কিছুটা সুস্থ হয়। পরে ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মামলার পরামর্শ দেন।

পরে গত ১৯ আগস্ট রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন নামের ওই সুপারের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় মামলা করেন। মামলার পরে মাদরাসা সুপার আত্মগোপনে চলে যান।