• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রিফাতকে হত্যার আগের দিন ডিভোর্স চেয়েছিলেন মিন্নি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

হত্যার আগের দিন রিফাতের কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলেন মিন্নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, মিন্নি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিফাত তাতে রাজি ছিলেন না।

গত বছরের ২৫ জুন দুপুরে রিফাত ও মিন্নি রিফাতের ফুফাত বোন হ্যাপি বেগমের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মিন্নি রিফাতের কাছে ডিভোর্স চান।

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রোববার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এমনই সাক্ষ্য দিয়েছেন হ্যাপি বেগম। এদিন বরগুনা পৌর কাউন্সিলর ফারুক শিকদার ও জয় চন্দ্র রায়ের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়। এ পর্যন্ত ৩৮ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে।

এ সময় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি করে সাক্ষীকে হুমকির অভিযোগ তদন্তের আদেশ দিয়েছেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ওইদিনই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।

পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলেকে হত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।

গত ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।