• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

একসঙ্গে চার প্রেম, চতুর্থ প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কাটে তিন প্রেমিক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চতুর্থ প্রেমিককে হত্যার পর পুরুষাঙ্গ কেটে প্রেমিকাকে দেখিয়েছে বাকি তিন প্রেমিক। এ ঘটনায় প্রেমিকাসহ তিন প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আশিকুর রহমানের কাছে হত্যা ও পুরুষাঙ্গ কাটার জবানবন্দি দেন প্রেমিকা ও প্রথম প্রেমিক।

গ্রেফতাররা হলেন- ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার মো. বাচ্চু মিয়ার মেয়ে প্রেমিকা আয়েশা বেগম আশা, একই এলাকার ভাড়াটিয়া লালমোহন বিশ্বাসের ছেলে প্রথম প্রেমিক টিটু চন্দ্র বিশ্বাস ওরফে পবন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে দ্বিতীয় প্রেমিক মোক্তার হোসেন ও একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে তৃতীয় প্রেমিক বাবুল মিয়া।

আদালতে আয়েশা বেগম জানান, মাদকাসক্ত টিটুর সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের লিপ্ত রয়েছেন তিনি। টিটুর মাধ্যমে মোক্তার ও বাবুলের সঙ্গে পরিচয় হয় আয়েশার। পরে তাদের সঙ্গেও প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তিনি। এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তি মাধ্যমে জামাল নামের আরেক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়ান এক পর্যায়ে জামাল তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এতে ক্ষিপ্ত টিটু ও অন্যান্যদের কথায় মোবাইলের মাধ্যমে শহরের স্টেডিয়ামের কাছে জামালকে ডেকে আনেন আয়েশা। এরপর টিটু, মোক্তার ও বাবুল তাকে চলে যেতে বলেন। এরপর তিনি বাড়িতে চলে যান।

টিটু চন্দ্র বিশ্বাস জবানবন্দিতে জানান, তিনি আয়েশাকে ভালোবাসতেন। কিন্তু জামাল আয়েশাকে বিয়ে করতে চাইলে তাদের প্রেমে ভাটা পড়ে। তাই হত্যার জন্য আয়েশার মাধ্যমে জামালকে ডেকে আনি। পরে আয়েশাকে বিদায় করে তিনজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই সময় মোক্তার জামালের পুরুষাঙ্গ কেটে আলাদা করে। এরপর তার মরদেহ আলুকান্দা এলাকার পাশের কলাবাগানে ফেলে রাখেন তারা। পরে জামালের পুরুষাঙ্গটি আয়েশাকেও দেখান।

তিনি আরো জানান, জামাল তাদের পথের কাঁটা হয়ে গিয়েছিল। তাকে পৃথিবী ছাড়া করতে রাতের অন্ধকারে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, হত্যার ৮৫ দিন পর মোবাইল কলের সূত্র ধরে জামাল হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছেন ইন্সপেক্টর বাহালুল খান বাহার। আসামিদের গ্রেফতার ও জবানবন্দি করাতে কৌশলের অবলম্বন নিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, জবানবন্দি শেষে চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে মোক্তার ও বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার আদালতে রিমান্ডের শুনানি হবে।

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় গানের আসরে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন জামাল মিয়া। পরদিন ওই কলাবাগান থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার স্ত্রী বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় তার চাচাতো ফরহাদকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। কারণ সেই দিন জামালকে শহরে পৌঁছে দেয় ফরহান। জামাল ভৈরবের বাউসমারা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে।