• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চায় ‘মায়ের কান্না’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায় ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে রংপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলষ্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা (৯০০/১০০০) এ দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশের পদপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগীর ছেলে, মেয়ে, মাতা, পিতা এবং ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।

খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা? তিনি জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করেন এবং তার সময় গুম, খুন বিনা বিচারে হত্যা শুরুর দাবি করেন।

গুম,খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী দল যাতে আগামীতে আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। এছাড়া জিয়ার অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবি-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।