• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সরকারের সব ধরণের উন্নয়নে পাশে থাকবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যে অগ্রসর হয়েছে, সেইঅগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও অগ্রসরমান প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মনেকরছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বর্তমান সরকারের অধীনে গত দশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই অর্জিত প্রবৃদ্ধিরকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সরকারের নতুন মেয়াদে একসাথে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছেইইউ।

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কয়েক ধাপ অগ্রসর হয়েছে, সেটা দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি ইইউ’র প্রতিনিধিদের।ইইউ রাষ্টদূত বলেন, আমি মনে করি কাঙ্ক্ষিত এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা নতুন সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। প্রবৃদ্ধির সুফলসকলের মধ্যে সমহারে বণ্টন করতে না পারলে দারিদ্র্য পুরোপুরি বিমোচন হবে না।

২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসির অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার জন্যবাংলাদেশের ভিশন ও পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীদিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও অগ্রসরমান প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। বাংলাদেশের জন্য এটি হবে একটি সাফল্যের গল্প।

এদিকে বর্তমান সরকার শুরু থেকেই অবৈধ অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে আসছে। এদেশেও অনেক অবৈধ অভিবাসীবসবাস করছেন। এছাড়াও বর্মি সেনাদের অতর্কিত হামলায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেসরকার।

নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তেরিং।তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপদ অভিবাসন চায়। শুধুমাত্র অভিবাসী শর্ত পূরণ হলেই ইউরোপীয় ইউনিয়নেরদেশগুলোতে থাকা সম্ভব।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সুশাসন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব রোহিঙ্গাসংকট, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সহযোগিতার মতো পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ ওসহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জ্বালানি ট্রান্সমিশন, ওয়েস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধানেবিভিন্ন প্রকল্পে ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশেইইউ’র বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আরও অনুকূল বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা দেখছেন।