• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের শঙ্কায় জাতিসংঘ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৯  

লিবিয়ায় বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াই ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছে। রাজধানী ত্রিপোলি’র দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটিতে সহিংসতা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরুর শঙ্কা করছে সংস্থাটি। খবর- ডয়চে ভেলে।

এক টুইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কমান্ডার খলিফা হাফতার এ মাসের শুরুতে ত্রিপোলি আক্রমণ শুরু করার পর কমপক্ষে ৫৬১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে লিবিয়ার দখলে রয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।

এদিকে ৫ এপ্রিল আক্রমণ শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনও হাফতারের বাহিনীর ‘আক্রমণের' শিকার হয়েছে বলেও অপর একটি টুইটে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সপ্তাহের শুরুতেই জাতিসংঘ জানিয়েছিল, সংঘর্ষের ফলে আট হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছেন।

হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের ওপর এ আক্রমণ শুরু করে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধাবস্থা চলে আসছে। ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার থাকলেও পূর্বাঞ্চল রয়েছে বিদ্রোহীদের দখলে।

পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই ২০১১ সালের মতো হয়ে উঠছে। ২০১১ সালে গাদ্দাফির সরকার বিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করেন। তখন থেকেই অস্থিতিশীল লিবিয়ার পরিস্থিতি। ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহীরা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে এবং গাদ্দাফিকে হত্যা করে। কিন্তু তখন থেকে ত্রিপোলির ক্ষমতার লড়াইয়ে রয়েছে বিভিন্ন বিবদমান পক্ষ।

গেল বছর ত্রিপোলির ফায়েজ আল-সারাজের সরকার, হাফতার ও অন্য বেশ কিছু বিদ্রোহী পক্ষের মধ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচনে রাজি হয় সব পক্ষ।

কিন্তু এবার হাফতার বলছেন, ত্রিপোলি সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতায় তিনি হতাশ। এদিকে হাফতারের বিরুদ্ধে ‘চুক্তিভঙ্গের' অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত ত্রিপোলি সরকার।

১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে গাদ্দাফিকে সহায়তা করেছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতার। কিন্তু পরবর্তীতে গাদ্দাফির সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধে গাদ্দাফির সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাফতার ও তার বাহিনী ছিল সামনের সারিতে।