• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তা অভিযানে নিহত ৪

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের কুলগাম জেলায় ভারতীয় নিরাপত্তা অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে চার সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে এই বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়ে সকাল ১১ টা পর্যন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে  ভারতীয় সেনাবাহিনী।

সেনা কর্মকর্তা জানায় যে, দক্ষিণ কাশ্মিরের কুলগাম জেলার হিপুরা বাতাগুন্ড এলাকায় এই চার ব্যক্তি নিহত হয়।

 

ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিদের উপস্থিতির নিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা একটি ঘেরাও এবং তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সশস্ত্র ব্যক্তিরা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

নিহতরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তা শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান সেনা কর্মকর্তা।

ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মির। রাজ্যটির অর্ধেকেরও বেশি নাগরিক ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে গেরিলা সংগ্রামে লিপ্ত। জম্মু ও কাশ্মিরে প্রাণঘাতী সহিংসতা ২০১২ সালে কমে যায়। ওই বছরে নিহত হয় ৯৯ জন। তবে তারপর থেকেই তা বাড়ছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে গত শুক্রবার ছয়জন নিহত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে সেখানে নিহতের সংখ্যা ৪০০-তে পৌঁছায়। ভারতের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে গত এক দশকের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৮ সালে নিহত হয়েছিল ৫০৫ জন।

কর্মকর্তারা বলছেন, কাশ্মির উপত্যকার অভ্যন্তরের বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং যারা পাকিস্তান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ জোরালো করেছে ভারতের সেনাবাহিনী। বিগত কয়েক মাসে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর স্বজনদের অপহরণ করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মিরকে নিজেদের বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর দুই প্রতিবেশীর তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংঘটিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। এক সামরিক নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে কাশ্মিরকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। ভারতের শাসনে রয়েছে ৪৫ শতাংশ এলাকা ও এক কোটি দশ লাখ মানুষের বসতি। আর পাকিস্তান শাসন করে ৩৫ শতাংশ অঞ্চল। আর বাকি অঞ্চল শাসন করে চীন।